মহাডাঙ্গায় পিকনিকের বাস পুকুরে পড়ে তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু ২০ জন আহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মহাডাঙ্গা বড় পুকুরে পিকনিকের বাস পড়ে তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২০ জন। স্থানীয় জনগন ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল প্রায় তিন ঘন্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও যাত্রীদের উদ্ধার করে। দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১০ জনকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ি গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ সদর উপজেলার বাবুডাইং এলাকায় পিকনিক করে দু’টি বাসযোগে বাড়ি ফিরছিল। আগে পিছে করেই বাস দু’টি ফিরছিল। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এরমধ্যে একটি বাস মহাডাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ধারের বড় পুকুরের মধ্যে পড়ে যায়। এতে বাসের মধ্যে থাকা নয়াদিয়াড়ির জোহুর উদ্দীনের ছেলে এন্তাজ আলী (৬৫), নজরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল করিম (৩৫) ও রশিদ আলীর ছেলে হাসিম আলী (৬২) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পুকুরে পড়া বাস ও যাত্রীদের উদ্ধার করে। বাসের মধ্যে অন্তত ৫০ জন যাত্রী ছিল। বেশকিছু যাত্রী বাসের উপরেও ছিল। স্থানীয়রা জানায়, দুর্ঘটনার পর চালক পুকুর থেকে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় জনগন ও ফায়ার সার্ভিসের দল প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পুকুরের মধ্যে পড়ে যাওয়া বাসটি তীরে নিয়ে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা অহিদুল ইসলাম রাত পৌনে ৯ টায় জানান, ডুবে যাওয়া বাসটি পুকুরের উপরে তোলার কাজ অব্যাহত আছে। আরও কোন জীবিত বা মৃত ব্যক্তি পুকুরে আছে কি না তা নিশ্চিৎ হওয়া যায় নি বলে তিনি জানান।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে নয়াদিয়াড়ি গ্রামের লাল মোহাম্মদের ছেলে মোবারক হোসেন (৪৫), তার ভাই অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুল মালেক (৫০), আজহার আলীর ছেলে মনিরুল (৫০), কসিম উদ্দীনের ছেলে মঞ্জুর আলী (৪০), সোহরাব আলীর ছেলে কবির আলী (৪০), ফারুক উদ্দীনের ছেলে তাইজুল ইসলাম (৫৫), জিল্লুর রহমানের ছেলে মজ্জেম হোসেন (৫০),একই উপজেলার রাঙ্গামাটি গ্রামের মানসুর রহমানের ছেলে মানিরুল (৪০), চাইপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন (৬৪), নাচোল উপজেলার বেলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ওমর ফারুক ( ৪২) নামের ১০ জনকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৪-০২-১৭
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ি গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ সদর উপজেলার বাবুডাইং এলাকায় পিকনিক করে দু’টি বাসযোগে বাড়ি ফিরছিল। আগে পিছে করেই বাস দু’টি ফিরছিল। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এরমধ্যে একটি বাস মহাডাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ধারের বড় পুকুরের মধ্যে পড়ে যায়। এতে বাসের মধ্যে থাকা নয়াদিয়াড়ির জোহুর উদ্দীনের ছেলে এন্তাজ আলী (৬৫), নজরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল করিম (৩৫) ও রশিদ আলীর ছেলে হাসিম আলী (৬২) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পুকুরে পড়া বাস ও যাত্রীদের উদ্ধার করে। বাসের মধ্যে অন্তত ৫০ জন যাত্রী ছিল। বেশকিছু যাত্রী বাসের উপরেও ছিল। স্থানীয়রা জানায়, দুর্ঘটনার পর চালক পুকুর থেকে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় জনগন ও ফায়ার সার্ভিসের দল প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পুকুরের মধ্যে পড়ে যাওয়া বাসটি তীরে নিয়ে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা অহিদুল ইসলাম রাত পৌনে ৯ টায় জানান, ডুবে যাওয়া বাসটি পুকুরের উপরে তোলার কাজ অব্যাহত আছে। আরও কোন জীবিত বা মৃত ব্যক্তি পুকুরে আছে কি না তা নিশ্চিৎ হওয়া যায় নি বলে তিনি জানান।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে নয়াদিয়াড়ি গ্রামের লাল মোহাম্মদের ছেলে মোবারক হোসেন (৪৫), তার ভাই অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুল মালেক (৫০), আজহার আলীর ছেলে মনিরুল (৫০), কসিম উদ্দীনের ছেলে মঞ্জুর আলী (৪০), সোহরাব আলীর ছেলে কবির আলী (৪০), ফারুক উদ্দীনের ছেলে তাইজুল ইসলাম (৫৫), জিল্লুর রহমানের ছেলে মজ্জেম হোসেন (৫০),একই উপজেলার রাঙ্গামাটি গ্রামের মানসুর রহমানের ছেলে মানিরুল (৪০), চাইপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন (৬৪), নাচোল উপজেলার বেলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ওমর ফারুক ( ৪২) নামের ১০ জনকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৪-০২-১৭