আমের রাজধানীতে আবারো বেধে দেয়া হলো আম ভাঙ্গার সময়সীমা
আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের মুকুলের আগমনের শুরুতেই আবারো বেধে দেয়া হয়েছে গাছ থেকে আম ভাঙ্গার সময়সীমা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কেমিক্যাল মিশিয়ে অপরিপক্ক আম পাকানোর অপতৎপরতার কারণে এর আগেও সময়সীমা বেধে দেয়া হয়েছিল। প্রথম দফায় প্রশাসনের বেধে দেয়া সময়সীমার কারণে সুদীর্ঘকাল থেকে স্বাধীনভাবে আম ভেঙ্গে আসা চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ পড়েছিলেন বিপাকে। অনেক ব্যাবসায়ীকেও মুখোমুখি হতে হয়েছিল লোকসানের। পরবর্তীতে সামগ্রীক বিষয় বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যে সময়সীমার পরিধি বাড়ানো হয়েছিল। সোমবার মৌসুমের শুরুতেই জেলা প্রসাশনের এক সভায় আবারো বেধে হলো আম ভাঙ্গার নতুন সময়সীমা।
দুপুলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে বিষমুক্ত আম উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিতকরণ বিষয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এবছর কোন কোন জাতের আম কোন কোন সময়ে গাছ থেকে নামিয়ে বাজারজাত করা হবে সে বিষয়ে একটি ‘আম ক্যালেন্ডার’ প্রণয়ণ করা হয়। ঘোষিত ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৫ মে গোপালভোগ, ১ জুন সকল প্রকার গুটি, হিমসাগর, ক্ষিরসাপাত, লক্ষনভোগ, ১০ জুন ল্যাংড়া ও বোম্বায়, ২৫ জুন ফজলী ও সুরমা ফজলী, ১ জুলাই আ¤্রপালি ও ১৫ জুলাই আশ্বিনা আম গাছ থেকে ভেঙ্গে বাজারজাত করা যাবে। ওই সভায় জানানো হয়, আবহাওয়া জনিত কারণে আম বাজারজাতকরনের তারিখ কিছুটা পরিবর্তণ আসতে পারে।
এদিকে, ২০১৮ সালের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে বিষমুক্ত আমের জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে ওই সভায় জানানো হয়। জেলা থেকে শতভাগ বিষমুক্ত আম দেশে এবং বিদেশে বাজারজাতকরণ, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের মনিটরিং করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আম নিয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হাসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এরশাদ হোসেন খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তৌফিকুল ইসলাম, এএসপি সার্কেল ওয়ারেছ আলী মিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক কামাল উদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুঞ্জুরুল হুদা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানত্তত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হামিম রেজা, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরফ উদ্দিন, চাঁপাই এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক জেসমিন আক্তারসহ আমচাষী ও ব্যবসায়ীরা।
সভায় আম পাকানোর জন্য কারবাইড, ইথোনল বা অন্য কোন কেমিক্যাল ব্যবহারকারী বা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল আম নিয়ে কেউ কোন ষড়যন্ত্র করতে না পারে সে বিষয়েও সতর্ক থাকার আহবান জানানো হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ৩০-০১-১৭
দুপুলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে বিষমুক্ত আম উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিতকরণ বিষয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এবছর কোন কোন জাতের আম কোন কোন সময়ে গাছ থেকে নামিয়ে বাজারজাত করা হবে সে বিষয়ে একটি ‘আম ক্যালেন্ডার’ প্রণয়ণ করা হয়। ঘোষিত ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৫ মে গোপালভোগ, ১ জুন সকল প্রকার গুটি, হিমসাগর, ক্ষিরসাপাত, লক্ষনভোগ, ১০ জুন ল্যাংড়া ও বোম্বায়, ২৫ জুন ফজলী ও সুরমা ফজলী, ১ জুলাই আ¤্রপালি ও ১৫ জুলাই আশ্বিনা আম গাছ থেকে ভেঙ্গে বাজারজাত করা যাবে। ওই সভায় জানানো হয়, আবহাওয়া জনিত কারণে আম বাজারজাতকরনের তারিখ কিছুটা পরিবর্তণ আসতে পারে।
এদিকে, ২০১৮ সালের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে বিষমুক্ত আমের জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে ওই সভায় জানানো হয়। জেলা থেকে শতভাগ বিষমুক্ত আম দেশে এবং বিদেশে বাজারজাতকরণ, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের মনিটরিং করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আম নিয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হাসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এরশাদ হোসেন খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তৌফিকুল ইসলাম, এএসপি সার্কেল ওয়ারেছ আলী মিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক কামাল উদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুঞ্জুরুল হুদা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানত্তত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হামিম রেজা, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরফ উদ্দিন, চাঁপাই এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক জেসমিন আক্তারসহ আমচাষী ও ব্যবসায়ীরা।
সভায় আম পাকানোর জন্য কারবাইড, ইথোনল বা অন্য কোন কেমিক্যাল ব্যবহারকারী বা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল আম নিয়ে কেউ কোন ষড়যন্ত্র করতে না পারে সে বিষয়েও সতর্ক থাকার আহবান জানানো হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ৩০-০১-১৭