‘ঘর পুড়েছে, বই পুড়েছে; আর কত নির্যাতন সহ্য করব’- আদিবাসী হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
এখন দেশজুড়ে চলছে জেএসসি পরীক্ষা। কিন্তু গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল গ্রামের যারা এবার পরীক্ষার্থী ছিল তারা পরীক্ষা দিতে পারল না। তাদের ঘর পুড়েছে, পুড়েছে বই। আমরা আর কত নির্যাতন সহ্য করব? গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আদিবাসি হত্যা, হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুন্ঠনের প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন কথা বলেছেন আদিবাসী ছাত্রী নিলমুনি কিসকু। কিসকু সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘তাদের শিক্ষা জীবন যেন ব্যাহত না হয়’।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের শহীদ সাটু হলের সামনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদিবাসী সমন্বয় পরিষদ, উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম ও আদিবাসী মুক্তি মোর্চা জেলা শাখা যৌথভাবে আয়োজিত এই মানববন্ধন কর্মসুচিতে বরেন্দ্র অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ব্যাপক সংখ্যক নারী পুরুষ অংশ নেয়। প্রায় পৌণে দুই ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জে নাচোল আদিবাসী একাডেমী সভাপতি যতীন হেমব্রম, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জ সরকার, আদিবাসী মুক্তি মোর্চার সভাপতি বিশ্বনাথ মাহাতো, উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি হিংগু মুরমু, আদিবাসী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ হেমব্রম, গোমস্তাপুরে দিঘরী পরিষদের রাজা জহরলাল এককা, আদিবাসী নেত্রী কুটিলা রাজোয়ার, কল্পনা মুরমু, আদিবাসী ছাত্রী নিলমুনি কিসকু প্রমূখ।
এসময় মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন, ডাবলু কুমার ঘোষ, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবু হাসিব, জেলা জাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, সাবেক ছাত্রনেতা কামাল উদ্দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ আতিকুল ইসলাম, বাবুডাইং আদিবাসী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কানাই চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদের সদস্য সচিব রফিক হাসান, প্রথম আলো বন্ধুসভার সহসভাপতি আলী উজ্জামান নূর, ছাত্রনেতা আব্দুল মজিদ প্রমূখ।
উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি হিংগু মুরমু তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা আপনার কাছে প্রাণের ভিক্ষা চাই। আমাদের মানুষের মত বাঁচতে দিন। নইলে আমরা হারিয়ে যাব’। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ আদিবাসী গারো তরুণীর ধর্ষণকারী পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায়। আর হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরানো সাঁওতাল আদিবাসীর হাতে-পায়ে হাতকড়া থাকে’।
আদিবাসী কল্পনা কোল মুরমু বলেন, ‘বাংলাদেশে কিভাবে আমাদের জীবন পরিচালিত করবো এই নিয়ে মহা দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটছে আমাদের’।
সমাবেশে বক্তারা সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও গুলি করে হত্যা রাষ্ট্রের জন্য একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা উল্লেখ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবি জানান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৪-১১-১৬
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের শহীদ সাটু হলের সামনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদিবাসী সমন্বয় পরিষদ, উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম ও আদিবাসী মুক্তি মোর্চা জেলা শাখা যৌথভাবে আয়োজিত এই মানববন্ধন কর্মসুচিতে বরেন্দ্র অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ব্যাপক সংখ্যক নারী পুরুষ অংশ নেয়। প্রায় পৌণে দুই ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জে নাচোল আদিবাসী একাডেমী সভাপতি যতীন হেমব্রম, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জ সরকার, আদিবাসী মুক্তি মোর্চার সভাপতি বিশ্বনাথ মাহাতো, উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি হিংগু মুরমু, আদিবাসী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ হেমব্রম, গোমস্তাপুরে দিঘরী পরিষদের রাজা জহরলাল এককা, আদিবাসী নেত্রী কুটিলা রাজোয়ার, কল্পনা মুরমু, আদিবাসী ছাত্রী নিলমুনি কিসকু প্রমূখ।
এসময় মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন, ডাবলু কুমার ঘোষ, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবু হাসিব, জেলা জাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, সাবেক ছাত্রনেতা কামাল উদ্দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ আতিকুল ইসলাম, বাবুডাইং আদিবাসী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কানাই চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদের সদস্য সচিব রফিক হাসান, প্রথম আলো বন্ধুসভার সহসভাপতি আলী উজ্জামান নূর, ছাত্রনেতা আব্দুল মজিদ প্রমূখ।
উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি হিংগু মুরমু তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা আপনার কাছে প্রাণের ভিক্ষা চাই। আমাদের মানুষের মত বাঁচতে দিন। নইলে আমরা হারিয়ে যাব’। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ আদিবাসী গারো তরুণীর ধর্ষণকারী পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায়। আর হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরানো সাঁওতাল আদিবাসীর হাতে-পায়ে হাতকড়া থাকে’।
আদিবাসী কল্পনা কোল মুরমু বলেন, ‘বাংলাদেশে কিভাবে আমাদের জীবন পরিচালিত করবো এই নিয়ে মহা দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটছে আমাদের’।
সমাবেশে বক্তারা সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও গুলি করে হত্যা রাষ্ট্রের জন্য একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা উল্লেখ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবি জানান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৪-১১-১৬