সোনামসজিদ বন্দরে পণ্যছাড়ে হয়রানীর অভিযোগ

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দায়িত্বরত কাস্টমস কর্মকর্তারা বিধি মোতাবেক যথাযথ দায়িত্ব পালন না করায় প্রতিদিন ভারত থেকে আমদানীকৃত পণ্য ছাড়ে জটিলত সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে স্থল বন্দরের সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সদস্যরা চরম হয়রানীর মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন জানান, কাস্টমস বিভাগের একজন উদ্ধর্তন কর্মকর্তা প্রতিদিন বিকেলে পণ্য ছাড় করার পূর্বে নিত্যনতুন অলিখিত নিয়ম নির্দেশনা দেয়ার কারণে পণ্য ছাড় করণে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। শতভাগ রাজস্ব পরিশোধ করার পরেও আবারও ঐসব পণ্যবাহী ট্রাক ওই কর্মকর্তা ওজন করার নির্দেশ দিচ্ছেন। ফলে ফলে প্রতিদিন সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ভারত থেকে কাঁচা পণ্যবাহী গাড়ি গুলো দুপুর ১২ টার মধ্যে পানামা ইয়ার্ডে ঢুকলেও তা ছাড় হয়ে দ্রুত দেশের অভ্যান্তরে যেতে পারছেনা। এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন অর রশিদ জানান,  গত ১৭ তারিখ সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে আমদানি করা ৯ ট্রাক মরিচ সঠিক সময়ে ছাড় না পাওয়ায় পাঁচ ট্রাক মরিচ পচে নষ্ট হয়ে যায়। এতে ক্ষতি হয় প্রায় ৫০ লাখ টাকা। একই দিনই ৪৭ ট্রাক আমদানীকৃত টমেটোর মধ্যে ২২ ট্রাক টমেটো পচে নষ্ট হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন সিএন্ডএফ এজেন্ট জানান, শুল্ক ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে হওয়া সাফটা চুক্তি’র সুফল সোনামসজিদ বন্দরের আমদানী রপ্তানী সংশ্লিষ্টরা পাচ্ছেননা।  কাঁচা মালের ক্ষেত্রে ১০% ছাড় দেয়ার নিয়ম থাকলেও  তা না দিয়ে আরো হয়রানী করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কাস্টমস এর কমিশনার রাজশাহী মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ২৬-০৯-১৬

,