পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত > বাড়ছে পানি বন্দি মানুষের সংখ্যা
ফারাক্কার সবক’টি গেট খুলে দেয়ার কারণের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের আরো ব্যাপক এলাকা বন্যা কবলিত হয়েছে। পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বেড়েছে পানি বন্দি মানুষের সংখ্যা।
স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েক দিন থেকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে শিবগঞ্জের পাঁকা, দুর্লভপুর, উজিরপুর, সত্রাজিতপুর, ঘোড়াপাখিয়া ও মনাকষা ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা এবং সদর উপজেলার নারায়ণপুর, আলাতুলি, চরবাগডাঙ্গা, ইসলামপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে শিবগঞ্জের ৬টি ইউনিয়নের ৩০/৩৫ টি গ্রামের প্রায় ৫০হাজার মানুষ রয়েছেন।
সূত্র জানায়, চলতি বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পাঁকা ইউনিয়ন।এ ইউনিয়নের একটি গ্রাম আংশিক এবং বাকি সবগুলো গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ পাঁকা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ৬টি ওয়ার্ড এবং ২৪টি গ্রামের প্রায় ১৬ হাজার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত। বিশেষ করে চর নিশিপাড়া, কদমতলা, কটাপাড়া, হলদেপাগাড়া, খাকচাপাড়া, নামো দশরশিয়া গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে এবং চরের একমাত্র বাজার দশরশিয়া বাজারও পানিতে তলিয়ে গেছে। অত্র এলকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যাপক সংকট দেয়া দিয়েছে। বন্যা আক্রান্ত মানুষ বাঁশের মাচা এবং ঘরের চালে আশ্রয় গ্রহন করেছে। গবাদিপশু গুলো নিয়ে একচিলতে জায়গায় ঠায় নিয়েছে মানুষ। দূর্লভপুর ইউনিয়নের দোভাগী, ফুলদিয়ার, বাদশাপাড়া, ও বহিরাপাড়া নামেজনগনাথপুর, পিয়ালীমারী, দোভাগী ও হাসানপুর, গাইপাড়া, খাকচাপাড়া, আইয়ুববিশ্বাসের গ্রাম সহ আরো কয়েকটি গ্রাম পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
পাঁকা ও দূর্লভপুর ইউনিয়নের প্রায় আড়াই হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।
পাঁকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রায় ২ হাজার বিঘা জমির ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পাঁকার হলদীপাড়া, কটাপাড়া, পোড়াপাড়া, দক্ষিণপাঁকা, কদমতলা, চর লক্ষীপুর ও জামাই পাড়া এলাকায় নদী ভাঙ্গনের ফলে প্রায় ১ হাজার বাড়ীঘর অনত্র সরিয়ে নিয়েছে লোকজন।গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে পাঠ দান। অনেক পরিবারই খোলা আকাশের নিচে রয়েছে বলে চেয়ারম্যান জানান।
উজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিন জানান, গত কয়েক দিনের বন্যার পানি বৃদ্ধিতে উজিরপুর ইউনিয়নের ৩’শ বাড়ীঘরের বন্যা পানি প্রবেশ করেছে। অনেক পরিবার ঘরের মধ্যে খাট-চৌকি উচু করে বসবাস করছে।
অন্যদিকে দুর্লভপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল রাজিব রাজু বন্যা কবলিত এলাকা থেকে মুঠো ফোনে জানান দুর্লভপুর ইউনিয়নে ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ৫’শ বাড়ীঘরে বন্যা পানি প্রবেশ করেছে এবং প্রায় ৩’শ বিঘা জমির ধান বন্যা পানিতে তলিয়ে গেছে।
চাঁপানবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও আলতুলি ইউনিয়নের বিস্তৃর্ন গ্রাম পানির নিয়ে নিমজ্জিত হয়েছে। এসব এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। সদরে চরবাগডাঙ্গা ও ইসলাম ইউনিয়নেরও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, শিবগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাাদক জানান, সরকারী ও বেসরকারীসহ প্রায় ৫০ সম্পূর্ন ও আরো ৫০টি আংশিক প্রাইমারী বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু উচ্চ বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে পানি উঠে পড়ায় বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষা কার্যক্রম।
অন্যদিকে, বন্যা কবলিত এলাকায় খাবার পানির সংকট তীব্র হতে তীব্রতর হয়ে উঠেছে। সংকট হয়েছে গো খাদ্যেরও। আর পদ্মা নদীতে গত ২৪ ঘন্টায় ৬ সে.মি. বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোডের এস.ডি আব্দুস সাত্তার জানান।
বন্যায় আক্রান্ত এলাকায় শনিবার ত্রাণ তৎপরতা চালানো হয়েছে। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা সৈয়দ ইরতিজা আহসান জানান, ক্ষতিগ্রস্থ ইউনিয়নগুলোতে প্রথম পর্যায়ে ৭ মেঃ টন চাল এবং ১ লাখ টাকা বিতরনের উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক ও নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ২৭-০৮-১৬
স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েক দিন থেকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে শিবগঞ্জের পাঁকা, দুর্লভপুর, উজিরপুর, সত্রাজিতপুর, ঘোড়াপাখিয়া ও মনাকষা ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা এবং সদর উপজেলার নারায়ণপুর, আলাতুলি, চরবাগডাঙ্গা, ইসলামপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে শিবগঞ্জের ৬টি ইউনিয়নের ৩০/৩৫ টি গ্রামের প্রায় ৫০হাজার মানুষ রয়েছেন।
সূত্র জানায়, চলতি বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পাঁকা ইউনিয়ন।এ ইউনিয়নের একটি গ্রাম আংশিক এবং বাকি সবগুলো গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ পাঁকা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ৬টি ওয়ার্ড এবং ২৪টি গ্রামের প্রায় ১৬ হাজার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত। বিশেষ করে চর নিশিপাড়া, কদমতলা, কটাপাড়া, হলদেপাগাড়া, খাকচাপাড়া, নামো দশরশিয়া গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে এবং চরের একমাত্র বাজার দশরশিয়া বাজারও পানিতে তলিয়ে গেছে। অত্র এলকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যাপক সংকট দেয়া দিয়েছে। বন্যা আক্রান্ত মানুষ বাঁশের মাচা এবং ঘরের চালে আশ্রয় গ্রহন করেছে। গবাদিপশু গুলো নিয়ে একচিলতে জায়গায় ঠায় নিয়েছে মানুষ। দূর্লভপুর ইউনিয়নের দোভাগী, ফুলদিয়ার, বাদশাপাড়া, ও বহিরাপাড়া নামেজনগনাথপুর, পিয়ালীমারী, দোভাগী ও হাসানপুর, গাইপাড়া, খাকচাপাড়া, আইয়ুববিশ্বাসের গ্রাম সহ আরো কয়েকটি গ্রাম পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
পাঁকা ও দূর্লভপুর ইউনিয়নের প্রায় আড়াই হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।
পাঁকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রায় ২ হাজার বিঘা জমির ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পাঁকার হলদীপাড়া, কটাপাড়া, পোড়াপাড়া, দক্ষিণপাঁকা, কদমতলা, চর লক্ষীপুর ও জামাই পাড়া এলাকায় নদী ভাঙ্গনের ফলে প্রায় ১ হাজার বাড়ীঘর অনত্র সরিয়ে নিয়েছে লোকজন।গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে পাঠ দান। অনেক পরিবারই খোলা আকাশের নিচে রয়েছে বলে চেয়ারম্যান জানান।
উজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিন জানান, গত কয়েক দিনের বন্যার পানি বৃদ্ধিতে উজিরপুর ইউনিয়নের ৩’শ বাড়ীঘরের বন্যা পানি প্রবেশ করেছে। অনেক পরিবার ঘরের মধ্যে খাট-চৌকি উচু করে বসবাস করছে।
অন্যদিকে দুর্লভপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল রাজিব রাজু বন্যা কবলিত এলাকা থেকে মুঠো ফোনে জানান দুর্লভপুর ইউনিয়নে ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ৫’শ বাড়ীঘরে বন্যা পানি প্রবেশ করেছে এবং প্রায় ৩’শ বিঘা জমির ধান বন্যা পানিতে তলিয়ে গেছে।
চাঁপানবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও আলতুলি ইউনিয়নের বিস্তৃর্ন গ্রাম পানির নিয়ে নিমজ্জিত হয়েছে। এসব এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। সদরে চরবাগডাঙ্গা ও ইসলাম ইউনিয়নেরও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, শিবগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাাদক জানান, সরকারী ও বেসরকারীসহ প্রায় ৫০ সম্পূর্ন ও আরো ৫০টি আংশিক প্রাইমারী বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু উচ্চ বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে পানি উঠে পড়ায় বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষা কার্যক্রম।
অন্যদিকে, বন্যা কবলিত এলাকায় খাবার পানির সংকট তীব্র হতে তীব্রতর হয়ে উঠেছে। সংকট হয়েছে গো খাদ্যেরও। আর পদ্মা নদীতে গত ২৪ ঘন্টায় ৬ সে.মি. বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোডের এস.ডি আব্দুস সাত্তার জানান।
বন্যায় আক্রান্ত এলাকায় শনিবার ত্রাণ তৎপরতা চালানো হয়েছে। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা সৈয়দ ইরতিজা আহসান জানান, ক্ষতিগ্রস্থ ইউনিয়নগুলোতে প্রথম পর্যায়ে ৭ মেঃ টন চাল এবং ১ লাখ টাকা বিতরনের উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক ও নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ২৭-০৮-১৬