বর্ষার দূত’কদম ফুল------------তারেক রহমান

নবধারা জলে ভেজি শীতল হওয়ার আহ্বান এখন প্রকৃিততে। সব রুক্ষতাকে বিদায় জানিয়ে নরম-কোমল হয়ে উঠবে বাংলার মাটি। বর্ষা দেখাবে নতুন রূপ, নতুন স্বপ্ন।
ফুলকে বলা হয় ঋতুর দূত, আর ঋতু চক্রের ভিন্নতা হচ্ছে, প্রকৃতির সাজ। প্রকৃতির এই সাজও হাসিকে অব্যাহত রাখার জন্যই ঋতু থেকে ঋতুতে দেখা যায় চেনা-অচেনা অসংখ্য ফুলের সমাহার, আর এসব জানা অজানা অজস্রফুল প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলে অপরূপ সাজে। এমনই একটি বনফুল হচ্ছে কদম ফুল। এ কদম ফুল বাঙালির শিল্প-সাহিত্যের এক অনন্য উৎস। এ কদম ফুলকে ঘিরে বাংলা সাহিত্যে রচিত হয়েছে অসংখ্য ছড়া, কবিতা, গান ও উপন্যাস। সাধারণত কদম ফুলকে বলা হয় বর্ষার দূত।  প্রতি বছরই কদম ফুল বর্ষার আগাম বার্তা বয়ে আনে প্রকৃতির বুকে। বর্ষা ঋতু জ্যৈষ্ঠ শেষে আষাঢ়ের শুরুতে কদম ফুল ফোটে। তাই এখন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় বর্ষার আগমনে কদম গাছে কদম ফুল হেসে উঠেছে। তা দেখার মতো। কদম ফুল প্রথমে সবুজ ছোট ও গোল আকৃতির হয়, পরে কয়েকদিনের মধ্যে পরিপক্ক হয়ে হলুদ সাদা সংমিশ্রণে গোল বল আকৃতির হয়। এই ফুল এখন  কদমের গাছে  গাছে অপরুপ সুন্দর্যের শোভা পাচ্ছে। কদম ফুলের মৌ-মৌ গন্ধে প্রতিটি বাঙালিকে প্রকৃতির  প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে। বাড়ির পাশের ঝোপ ঝাড়ে গজিয়ে উঠা  বনবৃক্ষ কদমের গাছে গাছে ফুটে উঠা ফুলের সুগন্ধে লোকালয় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে মানুষের মনে জাগিয়ে দেয় বর্ষার অনুভূমি, এই বুঝি বর্ষার আগমন ঘটলো। কিন্তু বর্তমানে এই ফুল গাছটি প্রকৃতি থেকে একরকম বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। আগের মতো তেমনটা দেখা যায় না এই অপরূপ সুন্দের্যের প্রতীক কদম ফুলের গাছ।
তবে আমাদের সৌভাগ্যক্রমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় কম বেশি এ কদম ফুলের গাছটি এখনও টিকে আছে।
র্বষা আবষ্টি হয়ে আছে বাঙালির আরাধনায়। তাপতি গ্রীস্মের অবসান  আগমনে। দাবদাহে অতিষ্ঠ প্রকৃতি আর মানবকূলকে মুক্তি দবে মেঘ আর বৃষ্টি। ষড়ঋতুর সবচেয়ে রহস্যময়ী  বর্ষার রূপ, রিমঝিমি বৃষ্টির ছন্দ, পখমে খোলা ময়ুরের উচ্ছল নৃত্য কিংবা কদমফুলের চোখ জুড়ানো শোভাতেই তো সাধরে আষাঢ়। আর তাই র্বষা এলেই আমাদের মনরে গভীরে জেগে ওঠে সুরের কাঁপন। কখনো সুর শুনি  বৃষ্টির, সুর শুনি বাদল হাওয়ার। তখন ,মন যেনো
হয়ে ওঠে উদাস। হারিয়ে যায় অজানা ঠিকানায়.....