কণিকা হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে ৫০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন বিক্ষোভ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহিপুরে স্কুল ছাত্রী কনিকা রানী ঘোষ নিহত ও অপর তিন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে রোববার চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মোড়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসুচির আয়োজন করা হয়। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫০টি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষাথীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। কলেজ মোড়ে ঘন্টাব্যাপি আয়োজিত মানববন্ধন ছড়িয়ে পড়ে নিউ মার্কেট, ক্লাব সুপার মার্কেট, গ্রীণভিউ স্কুলসহ আশেরপাশের এলাকায়। এসময় অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিক্ষক সমিতি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও হামিদুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিক্ষক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক আসলাম কবীর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিক্ষক সমিতি’র সহ- সভাপতি কামাল হোসেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’র চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, অবসারপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল হান্নান, মহিপুর এসএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিকুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, নয়াগোলা উচ্চ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপন কমিটির সভাপতি মাহতাব উদ্দীন, রানীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জালাল উদ্দিন, মহারাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, পলশা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বাক্কার, বালিডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজরিন শাহনাজ, গোমস্তাপুর উপজেলার শিক্ষক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও নিহত কণিকার চাচা বিজয় কুমার ঘোষ, নামোশংকরবাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সিদ্দিকা আফরিন।
বক্তারা, হামলাকারী বখাটে আব্দুল মালেকের ফাঁসি দাবি করেন।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে স্মারকপিপি প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, শুকবার সকাল ৯টার দিকে গোবরাতলার মহিপুর কলেজ মোড়ে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে মহিপুর এসএম দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী কণিকা রানী ঘোষ, তারিন আফরোজ, তানজিমা আক্তার ও মরিময় খাতুনকে এলোপাতাড়িভাবে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে আহত করে দিয়ার ধাইনগর গ্রামের আব্দুল লতিফের বখাটে ছেলে আব্দুল মালেক। এ ঘটনায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় কণিকা। আহত তারিন ও তানজিমা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং মরিয়ম ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৯-০৫-১৬