অধিক সাপের অবস্থান নাকি মৃত্যুর পর একই সাপের বারবার ফিরে আসা !

সাপ নিয়ে আজব ঘটনার জন্ম নিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের আজমতপুর গ্রামে। এলাকাবাসীর দাবি, একটি সাপকে দু’বার মেরে গর্তে পুঁতে রাখার পরেও তারা জীবিত দেখতে পেয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় তারা সাপটিকে জ্বীন সাপ বলেও মন্তব্য করছেন। তবে, প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন ‘একই প্রজাতির সাপের ধরণ ও গঠন একই প্রকৃতির হয়। তাই একই স্থানে অধিক সাপের অবস্থানের কারণে একাধিক সাপ বেরিয়ে আসার ঘটনা ঘটছে।
আজমতপুর গ্রামের বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে তার বাড়ির পেছনে একটি নতুন (অব্যবহৃত) টয়লেটে তিন হাত লম্বা একটি বিষধর সাপ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তারা সাপটিকে মেরে একটি গর্তে পুঁতে রাখে। কিন্তু রোববার রাতে একই সমান লম্বা একই ধরনের আরেকটি সাপ আবার ওই টয়লেটে দেখা যায়। বিষয়টি দেখে এলাকাবাসী আগের মেরে ফেলার পর পুঁতে রাখা সাপটির সন্ধান করলে তার অস্থিত্ব খুজে না পেয়ে অবাক হয় এলাকাবাসী’। আজমতপুরের ঝোপঝাড়ের পাশের ওই টয়লেট এলাকা থেকে সোমবার রাতে আবারও একই ঘটনা ঘটে। একই ধরনের জীবিত সাপকে চলাচল করতে দেখেন এলাকাবাসী। এতেই আত্মংকিত হয়ে উঠেন তারা। তবে এবার গ্রামবাসী ভয় পেয়ে সাপটিকে আর মারেনি।
ওই গ্রামের তোহিদুল ইসলাম আপেল বলেন, ‘গত চারদিন ধরে সাপ নিয়ে একই ঘটনা ঘটায় এলাকাবাসী সাপটিকে জ্বীন সাপ মনে করছেন’।
এদিকে, এই বিষয়টিকে নিয়ে আত্মংকিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রাণি সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা জয়পুরহাট প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ইসমাইল হক বলেন, ‘একই প্রজাতির সাপের গঠন ও ধরণ একই প্রকৃতির হয়। গঠনের দিক থেকে একাধিক সাপকে আলাদা করে বোঝা সম্ভব নয়। লাইফ সাইকেল অব ¯œ্যাক পড়লেই সাধারণ মানুষ এ সর্ম্পকে ধারণা পাবেন’। তিনি বলেন, ‘একটি সাপ বহু ডিম পারে। সাপের ডিম থেকে বাচ্চা হওয়ার পরিমাণও বেশি। সাধারণত ৮০ ভাগ ডিমেই বাচ্চা হয়। কোন কোন সময় তা শতভাগও হয়’।
গ্রামীণ জনপদের ওই স্থানে হয়তো বহু সাপের অবস্থান রয়েছে। সেই কারণেই একাধিক সাপ বেরিয়ে আসার ঘটনা ঘটছে। এতে আত্মংকিত হবার কিছু নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক ও নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ২৬-০৪-১৬

,