জোহুরপুর সীমান্তবাসীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হল চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা

বিজিবি রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. জাকির হোসেন বলেছেন, অবৈধভাবে কেউ ভারতে গিয়ে চোরাচালানীর সাথে জড়িত হলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। রাখালকে দিয়ে যারা মালিক হিসেবে চোরাচালানীর ব্যবসা করবে তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। চোরাচালানের হোতা ওইসব মালিকদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। সীমান্তের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং চোরাচালান দমনে বিজিবির সবসময় জিরোটলারেন্স রয়েছে। তিনি বলেন- সীমান্ত এলাকার জনসাধারণের জীবন মান উন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিটি পরিবারের ছেলে মেয়েদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে আয়বর্ধক বিভিন্ন কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মানুষ মানেই সম্পদ। আমরা চাই সীমান্ত এলাকার মানুষও সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠুক এবং নিজের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নেও ভ’মিকা রাখুক। তিনি বলেন-চরের প্রধান সমস্যা অর্থনৈতিক। এজন্য গাভি পালনসহ বিভিন্ন কাজে সীমান্ত এলাকার জনসাধারণকে চোরাচালান ছেড়ে বিকল্প হিসেবে কাজ করতে হবে। এজন্য তিনি গোখাদ্যের খাদ্য নিরসনে উন্নত ঘাসের বীজ সরবরাহের আশ্বাস দিয়ে জাকির হোসেন বলেন- সীমান্ত দিয়ে যে কোন চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সকল সময়ে জিরো টলারেন্সে রয়েছে।
সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জস্থ বিজিবি ৯ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের জহুরপুরটেক বিওপির পার্শ্ববর্তী মাঠ এলাকায় সীমান্ত অপরাধ, চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৯ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে.কর্নেল আহমেদ জুনাইদ আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা শাকিলা দিল হাছিন, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইরতিজা আহসান, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ওয়ারেশ আলী, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেনসহ সদর উপজেলার নারায়নপুর, চরবাগডাঙ্গা, শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ও দুর্লভপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ। ৯ বিজিবি আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চার ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৫-০২-১৬