৫ দিন বন্ধের পর সোনামসজিদে বৃহস্পতিবার থেকে আবারও শুরু হচ্ছে পাথর আমদানী

দফায় দফায় দাম বৃদ্ধি ও নি¤œমানের সরবরাহের প্রতিবাদে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থল বন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থল বন্দরে ৫ দিন বন্ধ রাখার পর আবারও বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে পাথর আমদানী। এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সোনামনজিদ স্থলবন্দর আমদানী ও রপ্তানীকারক গ্রুপ। বুধবার রাতে গ্রুপের সচিব মোখলেসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ৩১ জানুয়ারী এক সিদ্ধান্তে বাংলাদেশী পাথর আমদানীকারকরা ভারতীয়দের পাথর সরবরাহ ও রপ্তানীতে নানা অনিয়ম ও জটিলতা সৃষ্টির প্রতিবাদে ৬ জানুয়ারী শনিবার থেকে সোনামসজিদ পথে পাথর আমদানী বন্ধ করে দেয়। এ প্রেক্ষিতে ৮ জানুয়ারী ভারতীয়রা পাথর না নিলে সোনামসজিদে ১৩ জানুয়ারী থেকে সব পণ্য রপ্তানী বন্ধের সিদ্ধান্ত জানায়। এরপর বাংলাদেশী আমদানীকারকরা বিষয়টি মিমাংসার জন্য ১০ জানুয়ারী সোনামসজিদে  বৈঠকের আমন্ত্রণ জানান ভারতীয় পক্ষকে। কিন্তু তারা পাল্টা একই তারিখে ভারতের মহদিপুরে বৈঠকে ডাকে বাংলাদেশীদের। সে মোতাবেক বুধবার দুপুরে ১৫ সদস্যর বাংলাদেশী প্রতিনিধিদল মহদীপুর স্থলবন্দরে যায় ও মূল চারটি দাবী নিয়ে আলোচনা করে। সন্ধ্যায় ভারতীয় রপ্তানীকারকরা দাবীগুলি মেনে নেয় এবং এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করে পাথর রপ্তানী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরুর বিষযটি সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়ে দেয়। বৈঠকে বাংলাদেশী আমদানীকারকদের নেতৃত্ত্ব দেন সোনামসজিদ আমদানী ও রপ্তানীকারক গ্রুপের সভাপতি কবিরুল ইসলাম খোকন, সাধারন সম্পাদক আবু তালেব, সিনিয়র সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু প্রমূখ। ভারতীয় রপ্তানীকারকদের পক্ষে ছিলেন মহদীপুর এক্সপোটার্স এসোসিয়েসনের সভাপতি রামচন্দ্র ঘোষ, সম্পাদক সুকুমার সাহা, কর্মকর্তা নিখিল ঘোষ, মালদহ চেম্বারের সভাপতি উজ্জল সাহা প্রমূখ। এদিকে বন্দর সুত্র জানায়, দেশের পদ্মা সেতু, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যূৎ কেন্দ্র, ফ্লাইওভার সহ মেগা নির্মান ও উন্নয়ন প্রকল্প সহ সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে পাথরের ব্যপক চাহিদা থাকায় সংকটটি নিয়ে দূশ্চিন্তা তৈরী হয়। আমদানী বন্ধের মাত্র ৫ দিনেই ৫০ হাজার মে.টন পাথর আসেনি। এতে ৫ কোটিরও বেশী টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ১০-০২-১৬