মনকষায় যৌতুকের কারণে নাসরিনকে হত্যার অভিযোগ পরিবারের
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সিংনগর পন্ডিতপাড়া গ্রামের বেলাল উদ্দীনের মেয়ে নাসরিন খাতুনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, কবিরাজি শিক্ষা দেয়ার কথা বলে বেলাল উদ্দীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে কৌশলে তার মেয়ে নাসরিনকে বিয়ে করে মনাকষার তারাপুর মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মফিজুল হক (৪৫)। এটি তার চতুর্থ বিয়ে। বিয়ের পর বড় অংকের যৌতুক নিয়েও আবারও ৪০ হাজার টাকার যৌতুক দাবি করে মফিজুল। এই যৌতুকের টাকা না পেয়ে সোমবার দু’ দফায় নির্যাতন চালিয়ে নাসরিনকে হত্যার পর তার লাশ প্রথমে ঘরের তীরে ঝুলানো হয়। পরে তা নামিয়ে খাটে রাখা হয়।
নাসরিনের পিতা বেলাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘ ৭ বছর আগে মফিজ আমার সাথে বন্ধুত্ব সর্ম্পক তৈরী করে কবিরাজি শিক্ষা দেয়ার কথা বলে। এর কিছুদিন পর আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নাসরিনকে বিয়ে করে। কদিন আগে সে আমার মেয়ের কাছে ৪০ হাজার টাকা যৌতুক দাবী করলে আমি টাকা দিতে না পারায় সে আ মার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে’।
নাসরিনের বোন শেরিনা বেগম জানান, একমাস আগে মফিজ আমার বোন চরম নির্যাতন করলেও তা সহ্য করে গোপন করে। বাড়ির কাউকে তা জানতে দেয়নি।
স্থানীয়রা জানায়, মফিজুল এলাকার বিভিন্ন লোকের সাথে প্রতারনা করে তাদের বিভিন্ন সময় আর্থিক ক্ষতি করেছে।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে মফিজুল পলাতক রয়েছে। তার সর্ম্পকে অনুসন্ধান করতে তার বাড়ি গেলে বাড়ির লোকজন জানান, তারা এ বিষয়ে কোন কিছুই জানেননা। তারা শুনেছে নাসরিন ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এমনটা শুনেছে। তবে, মফিজুলের সৎ মা কামরুন্নাহার জানান, কদিন থেকে নাসরিনের বাবার কাছে টাকা লেনদেন নিয়ে মফিজ ও নাসরিনের সাথে ঝগড়া হচ্ছিল।
অন্যদিকে, নাসরিন নিহত হবার পর তার তিন বছরের শিশু কন্যা মাকে হারিয়ে অনবরত কান্নাকাটি করছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নাসরিনের পিতা বেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে একটি মামলা করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ২৬-০২-১৬
অভিযোগে জানা গেছে, কবিরাজি শিক্ষা দেয়ার কথা বলে বেলাল উদ্দীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে কৌশলে তার মেয়ে নাসরিনকে বিয়ে করে মনাকষার তারাপুর মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মফিজুল হক (৪৫)। এটি তার চতুর্থ বিয়ে। বিয়ের পর বড় অংকের যৌতুক নিয়েও আবারও ৪০ হাজার টাকার যৌতুক দাবি করে মফিজুল। এই যৌতুকের টাকা না পেয়ে সোমবার দু’ দফায় নির্যাতন চালিয়ে নাসরিনকে হত্যার পর তার লাশ প্রথমে ঘরের তীরে ঝুলানো হয়। পরে তা নামিয়ে খাটে রাখা হয়।
নাসরিনের পিতা বেলাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘ ৭ বছর আগে মফিজ আমার সাথে বন্ধুত্ব সর্ম্পক তৈরী করে কবিরাজি শিক্ষা দেয়ার কথা বলে। এর কিছুদিন পর আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নাসরিনকে বিয়ে করে। কদিন আগে সে আমার মেয়ের কাছে ৪০ হাজার টাকা যৌতুক দাবী করলে আমি টাকা দিতে না পারায় সে আ মার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে’।
নাসরিনের বোন শেরিনা বেগম জানান, একমাস আগে মফিজ আমার বোন চরম নির্যাতন করলেও তা সহ্য করে গোপন করে। বাড়ির কাউকে তা জানতে দেয়নি।
স্থানীয়রা জানায়, মফিজুল এলাকার বিভিন্ন লোকের সাথে প্রতারনা করে তাদের বিভিন্ন সময় আর্থিক ক্ষতি করেছে।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে মফিজুল পলাতক রয়েছে। তার সর্ম্পকে অনুসন্ধান করতে তার বাড়ি গেলে বাড়ির লোকজন জানান, তারা এ বিষয়ে কোন কিছুই জানেননা। তারা শুনেছে নাসরিন ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এমনটা শুনেছে। তবে, মফিজুলের সৎ মা কামরুন্নাহার জানান, কদিন থেকে নাসরিনের বাবার কাছে টাকা লেনদেন নিয়ে মফিজ ও নাসরিনের সাথে ঝগড়া হচ্ছিল।
অন্যদিকে, নাসরিন নিহত হবার পর তার তিন বছরের শিশু কন্যা মাকে হারিয়ে অনবরত কান্নাকাটি করছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নাসরিনের পিতা বেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে একটি মামলা করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ২৬-০২-১৬