মাঘের মেঘের আড়ালে সুর্য > গুড়িগুড়ি বৃষ্টি আর কনকনে শীতে কাবু মানুষ

মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাঘের মেঘের মেলায় সুর্যমামার লুকোচুড়ি খেলায় মত্ত থাকার পর এক পশলা বৃষ্টি। সেই থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আকাশ ঘিরে রেখেছে ঘনকুয়াশার মত মেঘ।  সেই মেঘের আড়ালে সুর্যের চলে যাওয়া, বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আর ফিরে আসেনি ‘সুর্যমামা’। এসময়ের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাজুড়ে ঝড়েছে কয়েক দফা বৃষ্টি। গাছপালা ও ফসলের জন্য ভাল হলেও বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। এনে দিয়েছে কনকনে শীত।
প্রকৃতিগতভাবে তীব্র শীতের মাস, মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহেই ভোরবেলায় ঘনকুয়াশা দেখা গেলেও এর সঙ্গে মঙ্গলবার যোগ হয় মেঘ। ওইদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অল্প সময়ে সুর্ষের দেখা মেলার পর হটাৎশুরু হয় বৃষ্টি। এটি চলতি মৌসুমের প্রথম বৃষ্টি। বৃষ্টির তীব্রতা না থাকলেও অল্পবৃষ্টির সঙ্গে এসেছে বাতাস। বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বুধবার সুর্যের অনুপোস্থিতিতে কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ। নি¤œআয়ের ও সাধারণ মানুষ পড়েছে দূর্ভোগে। দিনভর শহরে মানুষের বিচরণও ছিল খুবই কম।
মাঘের এই বৃষ্টি জনদুর্ভোগ বাড়ালেও উপকারে এসেছে গাছপালা ও ফসলের। আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম গাছের জন্য হয়েছে দারুন সহায়ক। মাঘের বৃষ্টি আমের জন্য ‘মধু’ হিসেবেই দেখছেন আমচাষীরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরফ উদ্দিন জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রধান অর্থকরি ফসল আমের মুকুল ফোটার জন্য সহায়ক হবে। অনেক বাগান শুকিয়ে ছিল এই বৃষ্টি কাজে লেগেছে।
এই বৃষ্টি রবি শস্য’র জন্যও সহায়ক হয়েছে উল্লেখ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. শামস-ই-তারবিজ বলেন, ‘এ বৃষ্টির কারণে কৃষির কোন ক্ষতি হবেনা, বরং ডাল জাতীয় রবি শস্য’র উপকার হবে। গমের জন্যও কাজে দিবে’।
এদিকে, স্বাস্থ্য বিভাগ বৃষ্টির সঙ্গে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়া শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি যতœবান হওয়ার আহবান জানিয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২০-০১-১৬