লংমার্চ শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে আদিবাসীদের স্মারকলিপি পেশ

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে রাত্রি যাপনের পর সোমবার সকালে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নারী-পুরুষেরা দ্বিতীয় দিনের মত লংমার্চ শুরু করে। এরপর লংমার্চটি দীর্ঘ কিলোমিটার হেঁটে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। পৃথক ও স্বাধীন ভূমি কমিশনের দাবিতে রোববার চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার বাসস্ট্যান্ড থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে লংমার্চ শুরু করে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ। এতে আদিবাসী নারী পরিষদ, আদিবাসী যুব পরিষদ, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সদস্যসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলার দূর-দূরান্তের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষেরা অংশ নেন। সোমবার সকালে রাজাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে লংমার্চের শুরুতে তারা রাজাবাড়ী বাজারে পথসভা করে। এখানে বক্তব্য দেন আদিবাসী নেতা সুভাষ চন্দ্র হেমব্রম, আদিবাসী যুব পরিষদের সভাপতি হরেন্দ্রনাথ সিং, সাধারণ সম্পাদক নরেন পাহান, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের নারী বিষয়ক সম্পাদক সুমিতা রবিদাস, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হেমন্ত মাহাতো, বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি সিফন রবিদাস প্রাণ কৃষ্ণ প্রমূখ। লংমার্চকে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ মোহাম্মদ, সমাজসেবী রুহুল আমীন, ওয়ার্কাস পার্টির নেতা রফিকুল ইসলাম প্রমূখ। বক্তারা বলেন, ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষদের মূল সমস্যাই হচ্ছে ভূমিকে কেন্দ্র করে। ভূমিকে কেন্দ্র করেই নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হয়ে এই গোদাগাড়ী থেকেই ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অনেক মানুষ দেশান্তরিত হয়েছেন। তাঁরা এদেশেরই নাগরিক। এদেশ মুক্ত করতে তাঁরা যুদ্ধ করেছে। এদেশে তাঁদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মত বসবাস করতে হচ্ছে। অথচ বর্তমান সরকার নবম জাতীয় সংসদের নির্বাচনী ইস্তেহারে উল্লেখ করেছিল সমতলের আদিবাসীদের জন্য আলাদা ভূমি কমিশন গঠন করবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহজোট সরকার দুই মেয়াদে সাত বছর পার করলেও ভূমি কমিশন গঠনের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ফলে আদিবাসীরা দারুণভাবে হতাশ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৬-১১-১৫