২০ বছরে জাতীয়করণ হয়নি শিবগঞ্জের চরমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়

চরমোহনপুর। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডেও একটি জনপদ। মহানন্দার নদীর পূর্বদিকে অবস্থিত এলাকাটি বলা যায়, শিবগঞ্জ থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ একটি জনপদ। এই জনপদের জনগণের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার।  বিদ্যালয়ের যাবার উপয়োগী শিশুদের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। এই জনপদের অর্ধেক জনগণ পদ্মার ভাংগন  এলাকা থেকে আসা। এলাকাটিতে শিক্ষার সুযোগ সুবিধা নেই বললেই চলে। একটি মাত্র বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেখানে মাত্র ১৫৪ ছাত্রছাত্রী লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। বিত্তবান ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা প্রায় ৩ কিলোমিটার দুরে চাঁপাইসদরের মধ্যে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে।
সরজমিনে এলাকা ঘুরে কথা হয় বর্তমান ও সাবেক  ইউপি সদস্য আজিজুল হক ও মোশারফ হোসেন, কৃষক তাসেম উদ্দিন, আলফাজ উদ্দিন ও আওয়ামীলীগ নেতা আবিদুর রহমানসহ  বিভিন্ন পেশার কয়েকজনের সাথে। তারা জানান এলাকাটি এখন পর্য্ন্ত কোন নেতার সুনজরে পড়েনি। ফলে আমরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। 
প্রায় ২০ বছর আগে স্থাপিত চরমোহনপুর নীচপাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি মাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও দীর্ঘদিন বেতন না হওয়ায় শিক্ষকরাও চরম হতাশায় ভুগছেন।  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার বিদ্যালয়ের যাবতীয় তথ্যদি দেখিয়ে বলেন আমরা ১৯৯৬ সালে এলাকার কয়েকজন বিদ্যানুরাগী ব্যক্তির সহযোগিতায় চরমোহনপুর নীচপাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপন করলেও বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ না হওয়ার কারনে ৪ জন শিক্ষক মানবেতর মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করলে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম যথাযথভাবে চালিয়ে যাচ্ছি। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরে পঞ্চম শ্রেণীর সমাপণী  পরীক্ষায় ১৫জন ছাত্রছাত্রী অংশ গ্রহন করবে। ২০১৪ সালে ১৪ জন, ২০১৩ সালে ১৭ জন ২০১২ সালে ৪ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়ে সবাই ভাল ফলাফল করেছে। তিনি আরো মধ্যখানে কিছুটা ছিমিয়ে পড়রেও  ২০০ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতার আসার  পর বুক ভরা আশা নিয়ে পুরো দমে কার্যক্রম  চালিয়ে যাচ্ছি।  জমি ক্রয় থেকে যাবতীয় খরচ নিজেরাই করে যাচ্ছি।  সরকারী কোন অনুদান পাইনি। তিনি আরো জানান সাম্প্রতিক কালে বিদ্যালয়টি যাচাইবাছাইয়ের জন্য একটি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে একটি চিঠি এসেছে। আশা করি অনতিবিলম্বে আমাদের বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হবে। এব্যাপারে উপজেলা  প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলহাজ  আবু ইউসুফ জানান বিদ্যালয়টি আমাদের নজরে আছে। যাচাইবাছাইয়ের জন্য চিঠি এসেছে। খুব শীঘ্রই যাচাইবাছাই কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করে  প্রতিবেদন পাঠানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই বিদ্যালয়টি জাতীয়করন করতে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করবো।


চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ সফিকুল ইসলাম সফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ১০-১১-১৫

,