শিবগঞ্জ পৌরসভার দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থায় জনদুর্ভোগ চরমে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভা প্রয়োজনীয় ড্রেনজ ব্যবস্থা না থাকায় পৌরবাসীর দূর্ভোগ চরমে উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ের বৃষ্টির বাইরে সাধারণ পানিতেই বিভিন্ন যায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে।
শিবগঞ্জ পৌরসভা অফিস সূত্রে জানা গেছে,  ২২ দশমিক  ২১ বর্গমিটার বিশিষ্ট পৌর এলাকায় মাত্র ১৩ দশমিক ৬৯ কিলোমিটার পাকা ড্রেন রয়েছে আরো প্রয়োজন প্রায় ৬১ দশমিক ৩১ কিলোমিটার। বর্তমানে ৪৫ দশমিক ৮০ কিলোমিটার পাকা ড্রেনের জন্য আবেদন করা হলে এ পর্যন্ত কোন খবর নেই।  পৌরসভা সূত্র জানিয়েছে, নির্মিত ড্রেনগুলোও পাশ্ববর্তী নদী বা বড় জলাশয় পর্যন্ত না যাওয়ায় কোন কাজে আসছে। ফলে ড্রেনে পানি দীর্ঘদিন জমে থেকে পচা নর্দমায় পরিনত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে আবাসিক এলাকাও পানি জমে থাকছে। এতে একদিকে যেমন মছামাছির উপদ্রপ বাড়ছে, অন্যদিকে তেমনি  দূর্গন্ধে শিবগঞ্জ শহেেরর বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ৫নং ওযার্ডের ঠাকুর ত্রিবর্দী শ্যামল চক্রবতী, শিবগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজ এলাকার ব্যবসায়ী আজিজুল হক, বাজার এলাকার কলেজ শিক্ষক মনিরুল, এনজিও প্রতিনিধি মোমিনুল ইসলামসহ  বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বর্তমানে শিবগঞ্জ ২,৩,৪ ও ৫নং ওযার্ডগুলো ড্রেনগুলো দীর্ঘদিন পরিস্কার না করা ও কোন  সংস্কার না করায় কোন কাজে আসছে না।
তারা আক্ষেপ করে বলেন, ‘একটি পৌরসভাতে যে ধরনের পরিবেশ থাকা দরকার তার কিছুই নেই। শুধূ আছে জনগনের কাছে কিভাবে কর আদায় করতে হবে, কিভাবে জনগনের কাছে থেকে ভোট নিতে হবে, কিভাবে জনগণকে শোষন করতে হবে তার কলাকৌশল’।
পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী তৌফিকুল ইসলাম জানান, শিবগঞ্জ শহরে বিশেষ করে ২,৩,৪ ও ৫ নং ওয়াডে বর্তমানে  প্রায় ১২কিলোমিটার পাকা ড্রেন আছে এবং এ ৪টি ওয়ার্ডে আরো ২০ কিলোমিটার পাকা ড্রেন নির্মান করা গেলে কিছুটা সমস্যার সমাধান হতে পারে। তিনি আরো জানান, যে ৪৫দশমিক ৮০কিলোমিটার পাকা ড্রেনের জন্য আবেদন করা হয়েছে তা নির্মান করতে প্রায় ২৩কোটি টাকা খরচ হবে।
তিনি জানান,  ৫নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত পিঠালীতোলা ,চকদৌলতপুর, জালমাছমারী ও শিবগঞ্জ শহরের কিছু অংশের  সঠিকভাবে পানি নিস্কাশনে জন্য সিএনবি হতে  পিঠালীতোলার জিয়া খাল পর্যন্ত ড্রেনের ব্যবস্থা করতে  হবে । যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ৫ নং ও ৬নং ওয়ার্ডর সমস্যা সমাধানের জন্য তর্তীপুর ঘাট পর্যন্ত ড্রেনের  প্রয়োজন।  জালমাছমারীর কিছু অংশ, চকদৌলতপুর ও সেলিমাবাদ এলাকায় জলবদ্ধতা বন্ধ করতে হলে শহরের পশ্চিমে পাগলা নদী পর্যন্ত ড্রেন করা প্রয়োজন কিন্তু মনাকষা মোড় হতে মাত্র ২শ মিটার দূরে দূর্লভপুর ইউনিয়নের এলাকায় হওয়ায় ঐদিকে ড্রেন করার কোন পরিকল্পনা করা যাচ্ছে না এবং শহরের কিছু অংশের পানি নিস্কাশন মরা নদীতে ফেলা যায় তবে মরানদীর জমিগুলোা ব্যক্তিগত হওয়ায় জমির মালিক তা করতে দিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ইমানী আলী বলেন, ‘শিবগঞ্জ পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই খারাপ যা জনদূর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারনে ড্রেন তৈরী করা সম্ভব হচেছ না’।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ সফিকুল ইসলাম সফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ২৩-১০-১৫

,