১৫ ওয়ার্ডেই পশু কোরবানীর স্থান নির্ধারিত করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা

যত্রতত্র পশু কোরবানীর কারনে পরিবেশ দুষণ ঠেকাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ১৫টি ওয়ার্ডে এবার স্থান নিদিষ্ট করে দিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে যেখানে সেখানে বা সড়কের উপর পশু কোরবানী না করতে পৌরবাসীর প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে পরিবেশ দুষণরোধে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মত চাঁপাইনবাবগঞ্জেও পশু কোরবানীর জন্য স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়েছে পৌরসভা। পৌর এলাকার ১৫টি ওয়ার্ডের জন্য আলাদা আলাদা স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াগোলা হাট ও মহাডাঙ্গা স্কুল মাঠ, ২ নম্বর ওয়ার্ডে ফকিরপাড়া পৌর গোরস্থানের পাশে ও হুজরাপুর পানির ট্যাংকি মাঠ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আলীনগর প্রাইমারী স্কুল, শিয়ালা কলোনী স্কুল ও মোহর আলী স্কুল মাঠ, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চৌহদ্দীটোলা বাগান ও হরিপুর গাংগিনা বাগান, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হরিপুর সাহাপাড়া, দূর্গাপুর মাদ্রাসা মাঠ ও রউফ মিয়ার বাগান, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জেলা আদর্শ স্কুল মাঠ, হরিতকিতলা বাগান, টনির বাগান, কালাম খানের বাগান, শংকরবাটী স্কুল, বটতলাহাট পশুহাট, জোড়গাছি মিরের পুকুরপাড় ও জোড়গাছি নতুনপাড়া, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উপরপাড়া ও নামোপাড়া ঈদগাহ মাঠ, মোল্লাপাড়া এবং হাজীপাড়া ঈদগাহ মাঠ, নিমগাছি ঈদগাহ মাঠ, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারামপুর ফুটবল মাঠ, রাজারামপুর হামিদুল্লাহ হাই স্কুল, হিতসাধন ক্লাব ও রাজারামপুর ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জান্নাতপাড়া বাগান, মোন্নাপাড়া গুদোড় বিশ্বাসের বাগান ও কাটাবাগান স্কুল মাঠ, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নয়ানশুকা উচ্চ বিদ্যালয়, আঙ্গারিয়াপাড়া স্কুল মাঠ, দিদার হাজি সাহেবের গলি ও হেফজুল মাদ্রাসা মাঠ, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নামোশংকরবাটী কোপরা, মিরের খৈলান ও মীরপাড়া বাগান, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে টিকরামপুর মোড়, লাহাপাড়া ফেটির বাগান ও চরমোহনপুর মোড়, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে টিকরামপুর মাদ্রাসা মাঠ, ফুঁলকুড়ি বাগান ও টিকরামপুর হাই স্কুল মাঠ, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আজাইপুর তোবজুল হাজীর বাগান, আরামবাগ মাদ্রাসা, চাঁন্দলাই জোড়বাগান ও পোলাডাংগা বাগান এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বালুবাগান, নিমতলা, টাউন হাইস্কুল, রহমানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও টিবি হাসপাতাল মাঠে স্ব স্ব ওয়ার্ডবাসীরা পশু কোরবানী দিবেন। এরই মধ্যে পৌর এলাকায় মাইকিং করে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। ৎবাস্তবায়নের জন্য পৌরবাসীর সহায়তা চেয়েছেন পৌর মেয়র মাওলানা আবদুল মতিন।
তবে পৌরসভার এই সিদ্ধান্তে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের অধিবাসী সাইদুর রহমান বলেন, ‘ ২ নম্বর ওয়ার্ড শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত এবং এর অধিবাসীর সংখ্যাও প্রচুর। বিশাল এই ওয়ার্ডের মানুষের পশু কোরবানীর জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষ মাত্র দুটি স্থান (ফকিরপাড়া পৌর গোরস্থানের পাশে ও হুজরাপুর পানির ট্যাংকি মাঠ) নির্ধারণ করে দিয়েছে। এই দু’টি স্থান পুরাতন বাজার, সাহাপাড়া, পাঠানপাড়া, ঝিলিম রোডের অধিবাসীদের অবস্থান বেশ দূরে। 
৪ নম্বর ওয়ার্ডের অধিবাসী হোসেন আলী অভিযোগ করেন তাদের ওয়ার্ডে পশু কোরবানীর নির্ধারিত স্থান হরিপুর গাংগিনা বাগান বর্ষার পানিতে ডুবে আছে। এদিকে, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে পোল্লাডাঙ্গা বাগানের কথা বলা হয়েছে। অথচ এখন পোল্লাডাঙ্গায় বাগানের অস্থিত্ব নেই।
এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাওলানা আবদুল মতিন জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এবার পৌর এলাকায় পশু কোরবানীর জন্য স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। তবে নিজস্ব ফাঁকা জায়গা থাকলে যে কেউ সেখানে পশু কোরবানী দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পশুর বর্জ ও রক্ত মাটির নিচে চাপা দিতে হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২২-০৯-১৫