বিএসএফের গুলির বিপরীতে বিজিবির বিরল দৃষ্টান্ত
ভারতীয় বিএসএফ যেখানে সামন্যতেই বাংলাদেশিদের প্রাণ কেড়ে নেয়। সেখানে ভারতীয়দের অবৈধ অনুপ্রবেশের পরও ‘উদার মানবিক’ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির ৪১ ব্যাটলিয়নের সদস্যরা।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বসবাস শিলং জেলার উকিয়াং থানার বড়ইপুঞ্জী গ্রামের চৌরিং খাসিয়ার ছেলে তালিয়ং খাসিয়ার (২৮)। দীর্ঘদিন থেকে তার ছয় মাসের শিশু ডিমেনশস খাসিয়া অসুস্থ। মৌলিক চিকিৎসাও করাতে পারছিলেন না তিনি। শেষ পর্যন্ত সন্তানকে নিয়ে স্ত্রী লিনা খাসিয়া (২৬)-সহ রোববার অবৈধভাবেই সীমান্ত পারাপারের ঝুঁকি নেন। নিরাপদেই অনুপ্রবেশ করেন বাংলাদেশে।
সিলেট-কানাইঘাট রাস্তায় পৌঁছার পর তারা বিজিবির চোখে পড়েন। বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই দম্পতি তাদের সন্তানের চিকিৎসার জন্যে অনুপ্রেবশ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান। তারা বলেন, ভারতের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় তারা নুন্যতম চিকিৎসা সেবাও পাচ্ছিলেন না। জীবনবিপন্ন অবস্থায় পড়েছিল তাদের ছয় মাসের শিশুর। সন্তানের জীবন বাঁচাতেই তারা সীমান্ত পার হয়েছেন। বিজিবির সদস্যরা বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে বিবেচনায় নেন। এরপর বিজিবির সহায়তায় তাদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়।
চিকিৎসা শেষে ৪১ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ আলম চৌধুরী পিবিজিএমের নির্দেশে বিজিবি ও বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক ডাকে। রোববার পতাকা বৈঠক শেষে শিশুসহ ভারতীয় দম্পতিকে বিএসএফের কাছে হস্তান্ত করা হয়। বিজিবি এই উদার মানবিকতায় ভারতীয় খাসিয়া সম্প্রদায় ও বিএসএফ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
সোমবার পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়ে বিজিবি বলেছে, ‘সীমান্ত এলাকায় প্রায়ই খাসিয়াসহ ভারতীয় বিভিন্ন সম্প্রদায় কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক আটক করে তাদেরকে গুলি/হত্যা/নির্যাতন/আহত করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তাদের (ভারতীয়) এ ধরনের অমানবিক প্রক্রিয়ার বিকল্প হিসেবে ৪১ বিজিবি’র গৃহীত পদক্ষেপ নতুন করে তাদের চিন্তা-চেতনা ও মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ এফএনএস থেকে নেয়া/ ২৬-০৮-১৫
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বসবাস শিলং জেলার উকিয়াং থানার বড়ইপুঞ্জী গ্রামের চৌরিং খাসিয়ার ছেলে তালিয়ং খাসিয়ার (২৮)। দীর্ঘদিন থেকে তার ছয় মাসের শিশু ডিমেনশস খাসিয়া অসুস্থ। মৌলিক চিকিৎসাও করাতে পারছিলেন না তিনি। শেষ পর্যন্ত সন্তানকে নিয়ে স্ত্রী লিনা খাসিয়া (২৬)-সহ রোববার অবৈধভাবেই সীমান্ত পারাপারের ঝুঁকি নেন। নিরাপদেই অনুপ্রবেশ করেন বাংলাদেশে।
সিলেট-কানাইঘাট রাস্তায় পৌঁছার পর তারা বিজিবির চোখে পড়েন। বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই দম্পতি তাদের সন্তানের চিকিৎসার জন্যে অনুপ্রেবশ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান। তারা বলেন, ভারতের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় তারা নুন্যতম চিকিৎসা সেবাও পাচ্ছিলেন না। জীবনবিপন্ন অবস্থায় পড়েছিল তাদের ছয় মাসের শিশুর। সন্তানের জীবন বাঁচাতেই তারা সীমান্ত পার হয়েছেন। বিজিবির সদস্যরা বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে বিবেচনায় নেন। এরপর বিজিবির সহায়তায় তাদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়।
চিকিৎসা শেষে ৪১ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ আলম চৌধুরী পিবিজিএমের নির্দেশে বিজিবি ও বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক ডাকে। রোববার পতাকা বৈঠক শেষে শিশুসহ ভারতীয় দম্পতিকে বিএসএফের কাছে হস্তান্ত করা হয়। বিজিবি এই উদার মানবিকতায় ভারতীয় খাসিয়া সম্প্রদায় ও বিএসএফ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
সোমবার পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়ে বিজিবি বলেছে, ‘সীমান্ত এলাকায় প্রায়ই খাসিয়াসহ ভারতীয় বিভিন্ন সম্প্রদায় কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক আটক করে তাদেরকে গুলি/হত্যা/নির্যাতন/আহত করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তাদের (ভারতীয়) এ ধরনের অমানবিক প্রক্রিয়ার বিকল্প হিসেবে ৪১ বিজিবি’র গৃহীত পদক্ষেপ নতুন করে তাদের চিন্তা-চেতনা ও মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ এফএনএস থেকে নেয়া/ ২৬-০৮-১৫