চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বিদেশের বাজারে গিয়েও ‘বড় বাজার’ ধরতে পারল না
আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রথমবারের মত বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আম বিদেশে রপ্তানি শুরু হয়েছে। নানা জটিলতা ও প্রতিকুলতা কাটিয়ে বুধবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের সোনার মোড় এলাকায় ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে উৎপাদিত আম আনুষ্ঠানিকভাবে রপ্তানী শুরু করা হয়। তবে, যথাযথ সময় রপ্তানি সম্ভবনাকে কাজে লাগাতে না পারার কারণে বিদেশের মাটিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম গেলেও বিদেশে ফলের বড় বাজার ‘ওয়ালমার্টে’ ঢুকতে পারল না।
আম নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরফ উদ্দীন জানান, আম উৎপাদনের বাংলাদেশের অবস্থান ৮ম হলেও নানান জটিলতায় বিদেশে আম রপ্তানী ছিলনা। রপ্তানী সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ২০০৮ সালে গবেষণা শুরু করা হয়। র্দীঘ ৫ বছর ধরে গবেষণার পর ২০১৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয় ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি। ওই বছর সফলতা পাওয়া যাওয়ায় চলতি বছর দেশের ৮টি জেলায় বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার শুরু হয় ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি।
তিনি জানান, চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, গোপালগঞ্জ, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন জেলায় ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার হয়। এই ৮ জেলার বিভিন্ন বাগানের দেড় লাখ আমে ফ্রৃট ব্যাগিং প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়। এ থেকে এ বছর ১ শ ১০ মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হচ্ছে।
গবেষণা কেন্দ্র সূত্র জানিয়েছে, ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার এলাকার মধ্যে সিংহভাগই রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ফ্রুট ব্যাগিং এ চাঁপাইনবাবগঞ্জে উৎপাদিত আমের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে বুধবার ল্যাংড়া ও ফজলি আম বিদেশে রপ্তানী করা হলো। ঢাকার রপ্তানীকারণ প্রতিষ্ঠান মেসার্স দিপ এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বারকুল্লাহ ট্রেডার্সসহ কয়েক জন আম ব্যবসায়ীর আম ইংল্যান্ডের ওয়ালমার্ট সুপার চেইন মার্কেট-এ রপ্তানির জন্য পাঠানো হয়।
ওই সূত্র জানায়, ওয়ালমার্টে আম রপ্তানীর জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীদের কাছে চাহিদা দেযা হয় ১ মেট্রিক টন। কিন্তু বর্তমানে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে উৎপাদিত ল্যাংড়া ও ফজলী চাহিদার তুলনায় সরবরাহ দিতে পারা যায়নি। ফ্রুট ব্যাগিং এর ল্যাংড়া আম আগেই বাজারে বিক্রি হয়ে গেছে। চাহিদার ১ টনের বিপরিতে দেয়া হয়েছে ল্যাংড়া ও ফজলি মিলিয়ে মাত্র ২৩৫ কেজি।
সূত্র জানায়, সরবরাহ পাওয়া আমের পরিমাণ কম হওয়ায় সেই রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্টে সরবরাহ না দিয়ে বিদেশের বাংলা মার্কেটে সরবরাহ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে বিদেশের বড় বাজার ধরার সম্ভাবনাটা প্রথমেই হাত ছাড়া হয়ে গেল। তবে ওই সূত্র জানিয়েছে, ল্যাংড়া ও ফজলি জাত দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শুরু হওয়া রপ্তানী কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বিদেশে যাবে সুমিষ্ট আ¤্রপালি ও আশ্বিনা। সময় মত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা গেলে আ¤্রপালি ও আশ্বিনা চাহিদা মতই সরবরাহ দেয়া যাবে।
এ প্রসঙ্গে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শরফ উদ্দীন জানান, আগামী বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম রপ্তানির সম্ভাবনটা উজ্জ্বল থাকছে। আশা করা হচ্ছে, ফ্রুট ব্যাগিং-এর আওতায় আরো বেশি সংখ্যক গাছে আম উৎপাদন হবে এবং রপ্তানিকারকদের চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ দেয়া সম্ভব হবে।
এদিকে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত আমের রপ্তানী সুযোগ সৃষ্টি হওয়া চাষীরা লাভবান হচ্ছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৪-০৬-১৫
আম নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরফ উদ্দীন জানান, আম উৎপাদনের বাংলাদেশের অবস্থান ৮ম হলেও নানান জটিলতায় বিদেশে আম রপ্তানী ছিলনা। রপ্তানী সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ২০০৮ সালে গবেষণা শুরু করা হয়। র্দীঘ ৫ বছর ধরে গবেষণার পর ২০১৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয় ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি। ওই বছর সফলতা পাওয়া যাওয়ায় চলতি বছর দেশের ৮টি জেলায় বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার শুরু হয় ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি।
তিনি জানান, চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, গোপালগঞ্জ, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন জেলায় ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার হয়। এই ৮ জেলার বিভিন্ন বাগানের দেড় লাখ আমে ফ্রৃট ব্যাগিং প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়। এ থেকে এ বছর ১ শ ১০ মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হচ্ছে।
গবেষণা কেন্দ্র সূত্র জানিয়েছে, ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার এলাকার মধ্যে সিংহভাগই রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ফ্রুট ব্যাগিং এ চাঁপাইনবাবগঞ্জে উৎপাদিত আমের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে বুধবার ল্যাংড়া ও ফজলি আম বিদেশে রপ্তানী করা হলো। ঢাকার রপ্তানীকারণ প্রতিষ্ঠান মেসার্স দিপ এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বারকুল্লাহ ট্রেডার্সসহ কয়েক জন আম ব্যবসায়ীর আম ইংল্যান্ডের ওয়ালমার্ট সুপার চেইন মার্কেট-এ রপ্তানির জন্য পাঠানো হয়।
ওই সূত্র জানায়, ওয়ালমার্টে আম রপ্তানীর জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীদের কাছে চাহিদা দেযা হয় ১ মেট্রিক টন। কিন্তু বর্তমানে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে উৎপাদিত ল্যাংড়া ও ফজলী চাহিদার তুলনায় সরবরাহ দিতে পারা যায়নি। ফ্রুট ব্যাগিং এর ল্যাংড়া আম আগেই বাজারে বিক্রি হয়ে গেছে। চাহিদার ১ টনের বিপরিতে দেয়া হয়েছে ল্যাংড়া ও ফজলি মিলিয়ে মাত্র ২৩৫ কেজি।
সূত্র জানায়, সরবরাহ পাওয়া আমের পরিমাণ কম হওয়ায় সেই রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্টে সরবরাহ না দিয়ে বিদেশের বাংলা মার্কেটে সরবরাহ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে বিদেশের বড় বাজার ধরার সম্ভাবনাটা প্রথমেই হাত ছাড়া হয়ে গেল। তবে ওই সূত্র জানিয়েছে, ল্যাংড়া ও ফজলি জাত দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শুরু হওয়া রপ্তানী কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বিদেশে যাবে সুমিষ্ট আ¤্রপালি ও আশ্বিনা। সময় মত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা গেলে আ¤্রপালি ও আশ্বিনা চাহিদা মতই সরবরাহ দেয়া যাবে।
এ প্রসঙ্গে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শরফ উদ্দীন জানান, আগামী বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম রপ্তানির সম্ভাবনটা উজ্জ্বল থাকছে। আশা করা হচ্ছে, ফ্রুট ব্যাগিং-এর আওতায় আরো বেশি সংখ্যক গাছে আম উৎপাদন হবে এবং রপ্তানিকারকদের চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ দেয়া সম্ভব হবে।
এদিকে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত আমের রপ্তানী সুযোগ সৃষ্টি হওয়া চাষীরা লাভবান হচ্ছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ২৪-০৬-১৫