একলাফে গোল্ডলিফের শলাকা ৮ টাকা > এজেন্ট লুটে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা > প্রশাসন কিছুই জানেনা!
দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাট বাজারের দোকানে দোকানে গেল বৃহস্পতিবার গোল্ডলিফ সিগারেট সরবরাহ দেয়া হয়েছিল প্যাকেট প্রতি ১০৮ টাকা দরে। সরকারের বাজেট পেশের দিনেও আগের দরে সিগারেট বিক্রি হলেও চিত্র পাল্টে যায় শুক্রবার ও শনিবার। আর শনিবারের পর রোববার সিগারেটের বাজারে রীতিমত ‘আগুন’। খুচরা ৬ টাকার গোল্ডলিফ সিগারেট বিক্রি হচ্ছে ৮টাকা দরে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর ও বিভিন্ন উপজেলা সদরের বাজারে দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, কৃত্রিমভাবে বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে সিগারেটের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ক্রেতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজেট ঘোষণাকে সামনে রেখে বরাবরই সিগারেটের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়। কোন কোন বছর বাজেট ঘোষণার আগেই দাম বেড়ে যেত। কিন্তু এবার বাজেট ঘোষণার পরের দিনেও আগের দরইে সিগারেট সরবরাহ দেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ী সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর শুক্রবার সিগারেট বিক্রি হয়েছে আগের দরে। কিন্তু একশ্রেণীর কালোবাজারি সিন্ডিকেট শনিবার থেকে কালো থাবা বিস্তার করে সিগারেটের বাজারে। জেলার বিভিন্ন হাট বাজারের দোকানে দোকানে সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া। শহরের আরামবাগ এলাকা মুদি দোকানদার বাবু বলেন, ‘সিগারেট আসেনি’ বলে তার দোকানে কোনই সিগারেট দেয়া হয়নি। নিমতলা এলাকার সুমন জানান, তিনি মাত্র এক কার্টুন পেয়েছেন। তাই প্যাকেট প্রতি ৫টাকা করে বেশি ধরে বিক্রি করছেন।
শুক্র ও শনিবার বাজারে কৌশলে সিগারেটের সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে রোববার সরবরাহ স্বাভাবিক করে দেয়া হয়। দোকানদাররা জানিয়েছে, রোববার গোল্ডলিফ সিগারেটের পাইকারী মুল্য ধরা হয়েছে প্যাকেট প্রতি ১৪০ টাকা। যা আগে নেয়া হত ১০৮টাকা। মাত্র একদিনের কারসাজিতে দাম বাড়ানো হয়েছে প্যাকেট প্রতি ৩২ টাকা করে। এ ৩২ টাকাই গেছে এজেন্টের ঘরে। উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫ উপজেলায় কয়েক হাজার প্যাকেট সিগারেট বিক্রি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষুব্ধ এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ শনিবার সিগারেট আসেনি। রোববার সিগারেট কি আকাশ থেকে পড়ল। রেশি দামে বিক্রির সিগারেটের সরবরাহ ঠিকই থাকছে। অথচ প্রশাসন কিছুই দেখছেনা’।
শহরের ক্লাব সুপার মার্কেট এলাকার এ ব্যবসায়ী জানান, এজেন্টের কারসাজিতে শহরের কয়েকজন ব্যবসায়ী শনিবারই কয়েক লাখ টাকার সিগারেট মজুদ করে নিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর তা কার্যকর হয়ে কয়েক দাফ সময় লাগে। চুড়ান্তভাবে পাশ হওয়া বাজেটে তামাকজাত পণ্যের উপর ধার্য করা শুল্ক ধরে নির্ধারণ হবে সিগারেটের প্রকৃত দাম। কিন্তু তার আগেই জনগনের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে দাম।
বাজেট পাশের আগেই প্রকাশ্যে মাত্রাতিরিক্ত বেশী দরে সিগারেট বিক্রি হলেও প্রশাসনিক কোনই পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।
এ ব্যাপারে গোল্ডলিফ সিগারেট কোম্পানীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ এজেন্টের সঙ্গে কথা বলতে শহরের মিস্ত্রিপাড়া অফিসে গেলে জানানো হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জস্থ এজেন্ট ইশারুল হক (ইশারুল মাষ্টার) অফিসে নেই। তিনি ভারতে রয়েছেন। এর বাইরে অন্যরা কেউ কোন মন্তব্য করতে চাননি।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তা সেলফোনে চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে, জেলা প্রশাসনের এনডিসি রামকৃষ্ণ বর্মণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে, এটি কালোবাজারি ঘটনা’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৭-০৬-১৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর ও বিভিন্ন উপজেলা সদরের বাজারে দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, কৃত্রিমভাবে বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে সিগারেটের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ক্রেতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজেট ঘোষণাকে সামনে রেখে বরাবরই সিগারেটের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়। কোন কোন বছর বাজেট ঘোষণার আগেই দাম বেড়ে যেত। কিন্তু এবার বাজেট ঘোষণার পরের দিনেও আগের দরইে সিগারেট সরবরাহ দেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ী সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর শুক্রবার সিগারেট বিক্রি হয়েছে আগের দরে। কিন্তু একশ্রেণীর কালোবাজারি সিন্ডিকেট শনিবার থেকে কালো থাবা বিস্তার করে সিগারেটের বাজারে। জেলার বিভিন্ন হাট বাজারের দোকানে দোকানে সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া। শহরের আরামবাগ এলাকা মুদি দোকানদার বাবু বলেন, ‘সিগারেট আসেনি’ বলে তার দোকানে কোনই সিগারেট দেয়া হয়নি। নিমতলা এলাকার সুমন জানান, তিনি মাত্র এক কার্টুন পেয়েছেন। তাই প্যাকেট প্রতি ৫টাকা করে বেশি ধরে বিক্রি করছেন।
শুক্র ও শনিবার বাজারে কৌশলে সিগারেটের সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে রোববার সরবরাহ স্বাভাবিক করে দেয়া হয়। দোকানদাররা জানিয়েছে, রোববার গোল্ডলিফ সিগারেটের পাইকারী মুল্য ধরা হয়েছে প্যাকেট প্রতি ১৪০ টাকা। যা আগে নেয়া হত ১০৮টাকা। মাত্র একদিনের কারসাজিতে দাম বাড়ানো হয়েছে প্যাকেট প্রতি ৩২ টাকা করে। এ ৩২ টাকাই গেছে এজেন্টের ঘরে। উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫ উপজেলায় কয়েক হাজার প্যাকেট সিগারেট বিক্রি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষুব্ধ এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ শনিবার সিগারেট আসেনি। রোববার সিগারেট কি আকাশ থেকে পড়ল। রেশি দামে বিক্রির সিগারেটের সরবরাহ ঠিকই থাকছে। অথচ প্রশাসন কিছুই দেখছেনা’।
শহরের ক্লাব সুপার মার্কেট এলাকার এ ব্যবসায়ী জানান, এজেন্টের কারসাজিতে শহরের কয়েকজন ব্যবসায়ী শনিবারই কয়েক লাখ টাকার সিগারেট মজুদ করে নিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর তা কার্যকর হয়ে কয়েক দাফ সময় লাগে। চুড়ান্তভাবে পাশ হওয়া বাজেটে তামাকজাত পণ্যের উপর ধার্য করা শুল্ক ধরে নির্ধারণ হবে সিগারেটের প্রকৃত দাম। কিন্তু তার আগেই জনগনের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে দাম।
বাজেট পাশের আগেই প্রকাশ্যে মাত্রাতিরিক্ত বেশী দরে সিগারেট বিক্রি হলেও প্রশাসনিক কোনই পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।
এ ব্যাপারে গোল্ডলিফ সিগারেট কোম্পানীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ এজেন্টের সঙ্গে কথা বলতে শহরের মিস্ত্রিপাড়া অফিসে গেলে জানানো হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জস্থ এজেন্ট ইশারুল হক (ইশারুল মাষ্টার) অফিসে নেই। তিনি ভারতে রয়েছেন। এর বাইরে অন্যরা কেউ কোন মন্তব্য করতে চাননি।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তা সেলফোনে চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে, জেলা প্রশাসনের এনডিসি রামকৃষ্ণ বর্মণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে, এটি কালোবাজারি ঘটনা’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৭-০৬-১৫