‘এমন ডাক আগে শুনিনি’ > গোমস্তাপুরে বজ্রপাতে একজন নিহত
ভয়াবহভাবে গর গর শব্দগুলো শুনে মনে হচ্ছিল ঠিক যেন ঘরের ছাদের উপরেই নেমে এসেছে বিশাল আকাশ। তারপর দুরুম্ দুরুম্ শব্দে আঁতকে আঁতকে উঠা। গেল দু’দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভোররাতে বৃষ্টির সঙ্গে ভয়ংকর মেঘের গর্জন শুনে এমন অনুভূতি জানিয়ে সাধারণ মানুষ বলেছেন, ‘ মেঘের এমন ডাক আগে শুনিনি ’।
গত কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমের পর রোববার ও সোমবার এই দু’দিনেই প্রায় একই সময় (ভোররাত ৪টার দিকে) মেঘের গর্জন দিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় ঘন্টারও বেশী সময় ধরে গর্জনের সঙ্গে অঝর ধারায় ঝরে বৃষ্টি। স্থানীয়রা জানিয়েছে, রোববারের গর্জন আর বজ্রপাতের চেয়ে সোমবারের গর্জন আর বজ্রপাতের ঘটনা ছিল ব্যাপক। সদর উপজেলার পলশা গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘মেঘের ডাকে ঘুম ভাঙ্গতেই দেখি ঝড় বইছে। সেই সঙ্গে ভয়ংকর ডাক। সোমবার যতক্ষণ ঝড় বৃষ্টি হয়েছে ততক্ষণই বিজলী চমকেছে ’।
অব্যাহত পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গেল দু’দিনের মেঘের বিকট গর্জন সাধারণ মানুষকে আত্মংকিত করে তুলে। বিকট শব্দ আর আকাশজুড়ে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকানো এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। চল্লিশ উর্দ্ধ চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মাসিদুর রহমান বললেন ‘ স্মরণকালের মধ্যে মেঘের এমন গর্জন শোনার কথা মনে পড়ে না’।
তবে অনেকে মন্দের ভাল হিসেবে বলেছেন, ‘বজ্রপাতের ঘটনাগুলো ঘটেছে ভোররাতে। অধিকাংশ সাধারণ মানুষ ওই সময় ঘরের মধ্যে থাকায় ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি’।
এদিকে রোববার চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের রহনপুরে বজ্রপাতে একই পরিবারের একজন নিহত ও দু’ জন আহত হয়েছে। রহনপুর পৌর এলাকার হুজরাপুর গ্রামে ঝড় বৃষ্টির সময় আমবাগানে আম কুড়তে গেলে বজ্রপাত ঘটলে ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে মিমি ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এ সময় আহত হয় তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন ও অপর মেয়ে নিশি। আহতদের গোমস্তাপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় রাতের বৃষ্টিতেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় হাটু পানি জমে যায়। এতে জনগনকে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১১-০৫-১৫
গত কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমের পর রোববার ও সোমবার এই দু’দিনেই প্রায় একই সময় (ভোররাত ৪টার দিকে) মেঘের গর্জন দিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় ঘন্টারও বেশী সময় ধরে গর্জনের সঙ্গে অঝর ধারায় ঝরে বৃষ্টি। স্থানীয়রা জানিয়েছে, রোববারের গর্জন আর বজ্রপাতের চেয়ে সোমবারের গর্জন আর বজ্রপাতের ঘটনা ছিল ব্যাপক। সদর উপজেলার পলশা গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘মেঘের ডাকে ঘুম ভাঙ্গতেই দেখি ঝড় বইছে। সেই সঙ্গে ভয়ংকর ডাক। সোমবার যতক্ষণ ঝড় বৃষ্টি হয়েছে ততক্ষণই বিজলী চমকেছে ’।
অব্যাহত পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গেল দু’দিনের মেঘের বিকট গর্জন সাধারণ মানুষকে আত্মংকিত করে তুলে। বিকট শব্দ আর আকাশজুড়ে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকানো এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। চল্লিশ উর্দ্ধ চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মাসিদুর রহমান বললেন ‘ স্মরণকালের মধ্যে মেঘের এমন গর্জন শোনার কথা মনে পড়ে না’।
তবে অনেকে মন্দের ভাল হিসেবে বলেছেন, ‘বজ্রপাতের ঘটনাগুলো ঘটেছে ভোররাতে। অধিকাংশ সাধারণ মানুষ ওই সময় ঘরের মধ্যে থাকায় ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি’।
এদিকে রোববার চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের রহনপুরে বজ্রপাতে একই পরিবারের একজন নিহত ও দু’ জন আহত হয়েছে। রহনপুর পৌর এলাকার হুজরাপুর গ্রামে ঝড় বৃষ্টির সময় আমবাগানে আম কুড়তে গেলে বজ্রপাত ঘটলে ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে মিমি ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এ সময় আহত হয় তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন ও অপর মেয়ে নিশি। আহতদের গোমস্তাপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় রাতের বৃষ্টিতেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় হাটু পানি জমে যায়। এতে জনগনকে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১১-০৫-১৫