দিনে ৫/৬ ঘন্টা বাত্তি জ্বলেনা, স্যালোও চলেনা > তবুও নাকি লোডসেডিং নেই
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বিদ্যুতের ঘন ঘন আসা-যাওয়ায় হাজার হাজার শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি কোন লোড সেডিং নেই। অথচ ভুক্তভোগি গ্রাহকরা বলছেন, প্রতিদিন প্রায় ৫/৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা শিবগঞ্জে। এতে একদিকে ব্যাহত হচেছ চাষাবাদ। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শিবগঞ্জ উপজেলায় শাহাবাজপুর, সাহাপাড়া, রানীহাট্টি, কানাসাট ও চককীর্তি এলাকায় ৫ টি ফিল্ডারের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি’র ৪০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে ১শ ৯৪ টি গভীর নলকুপ, ২ হাজার ৫শ মর্টারসেটসহ স্যালোমেশিন ও সহস্রাধীক কুটির শিল্প চালু রয়েছে। অন্যদিকে পিডিবির অধীনে প্রায় ১২ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৩৭টি গভীর নলকুপ, ৮০টি মর্টারসেট সহ স্যালোমেশিন, ১শ ৭৫টি কুটির শিল্প ও ৪ হাজার ব্যণিজ্যিক গ্রাহক রয়েছে।
পিডিবি ও পল্লীবিদ্যুৎ মিলে ৩৩ হাজার ভোল্ট বিশিষ্ট মোট ৯ টি ফল্টারে মোট ৫২ হাজার গ্রাহকের জন্য ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চালু আছে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে। পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চালু থাকার কথা বললেও গ্রাহকরা বলছেন ভিন্ন কথা। বিভিন্ন এলাকার ছাত্রছাত্রী ও কৃষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন প্রায় ৫/৬ ঘন্টা করে লোডসেডিং হওয়ায় লেখাপড়া ও কৃষি সেচে ব্যাঘাত ঘটছে। কারণ লোড সেডিং বেশীর ভাগ সময় হয় সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত । যে সময়ে ছাত্রছাত্রীরা লেখা পড়া করে ও কৃষকরা বোরো ইরি সহ বিভিন্ন ধরণের ফসলে সেচ দিয়ে থাকে।
ডিপটিউবেলের মালিক মাহিদুর জানান লোডসেডিং ্ এর কারণে ধানসহ বিভিন্ন ফসলে ঠিকমত সেচ দিতে পারা যাচ্ছেনা। আদিনা ফজলুল হক সরকারী কলেজের অনার্সের ছাত্রী হালিম ও রাসেল জানান লোডসেডিং এর কারণে লেখাপড়ায় চরম ব্যাঘাত ঘটায় আশানুরুপ ফলাফল পেতে ভীষন কষ্ট হবে। তারা বলেন ‘বিদ্যুৎ এর পরিবর্তে মোমবাতি জ্বালিয়ে কি আর লেখাপড়া হয়?’ হালিম, রাসেলের মত অনুভুতি জানিয়েছে আরো বহু শিক্ষার্থী। ধানভাঙ্গা মেশিনের মালিক মাহাতাব উদ্দিন জানান লোডসেডিংএর কারণে এক ঘণ্টার কাজ দুই ঘণ্টায় করতে হচেছ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিবগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মচারী জানিয়েছেন, শিবগঞ্জে দিন দিন বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে অনুযায়ী শিবগঞ্জেই প্রতিদিন বিদ্যুতের প্রয়োজন ৫০ মেগাওয়াট। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে চাহিদার অর্ধেক।
এ ব্যাপারে পল্লীবিদ্যুতের সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শিবগঞ্জ উপজেলায় কোন লোডসেডিং নেই। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ৩৩ হাজার ভোল্টের চারটি সাবস্টেশনের মাধ্যমে পল্লীবিদ্যুৎ ও পিডিবি একই সংগে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়ায় মাঝে মাঝে কিছুটা সমস্য হয়। তবে, তিনি মন্তব্য করেন, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার হওয়ায় মাঝে মাঝে লাইন বন্ধ রাখতে হয়।
শিবগঞ্জ পিডিবি অফিসও দাবি করেন, তাদেরও কোন লোডসেডিং নেই। তবে, একই স্থান থেকে পল্লীবিদ্যুৎ ও পিডিবি বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়ায় প্রতিটি ফিল্ডারে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ সফিকুল ইসলাম সফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ৩০-০৪-১৫
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শিবগঞ্জ উপজেলায় শাহাবাজপুর, সাহাপাড়া, রানীহাট্টি, কানাসাট ও চককীর্তি এলাকায় ৫ টি ফিল্ডারের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি’র ৪০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে ১শ ৯৪ টি গভীর নলকুপ, ২ হাজার ৫শ মর্টারসেটসহ স্যালোমেশিন ও সহস্রাধীক কুটির শিল্প চালু রয়েছে। অন্যদিকে পিডিবির অধীনে প্রায় ১২ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৩৭টি গভীর নলকুপ, ৮০টি মর্টারসেট সহ স্যালোমেশিন, ১শ ৭৫টি কুটির শিল্প ও ৪ হাজার ব্যণিজ্যিক গ্রাহক রয়েছে।
পিডিবি ও পল্লীবিদ্যুৎ মিলে ৩৩ হাজার ভোল্ট বিশিষ্ট মোট ৯ টি ফল্টারে মোট ৫২ হাজার গ্রাহকের জন্য ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চালু আছে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে। পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চালু থাকার কথা বললেও গ্রাহকরা বলছেন ভিন্ন কথা। বিভিন্ন এলাকার ছাত্রছাত্রী ও কৃষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন প্রায় ৫/৬ ঘন্টা করে লোডসেডিং হওয়ায় লেখাপড়া ও কৃষি সেচে ব্যাঘাত ঘটছে। কারণ লোড সেডিং বেশীর ভাগ সময় হয় সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত । যে সময়ে ছাত্রছাত্রীরা লেখা পড়া করে ও কৃষকরা বোরো ইরি সহ বিভিন্ন ধরণের ফসলে সেচ দিয়ে থাকে।
ডিপটিউবেলের মালিক মাহিদুর জানান লোডসেডিং ্ এর কারণে ধানসহ বিভিন্ন ফসলে ঠিকমত সেচ দিতে পারা যাচ্ছেনা। আদিনা ফজলুল হক সরকারী কলেজের অনার্সের ছাত্রী হালিম ও রাসেল জানান লোডসেডিং এর কারণে লেখাপড়ায় চরম ব্যাঘাত ঘটায় আশানুরুপ ফলাফল পেতে ভীষন কষ্ট হবে। তারা বলেন ‘বিদ্যুৎ এর পরিবর্তে মোমবাতি জ্বালিয়ে কি আর লেখাপড়া হয়?’ হালিম, রাসেলের মত অনুভুতি জানিয়েছে আরো বহু শিক্ষার্থী। ধানভাঙ্গা মেশিনের মালিক মাহাতাব উদ্দিন জানান লোডসেডিংএর কারণে এক ঘণ্টার কাজ দুই ঘণ্টায় করতে হচেছ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিবগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মচারী জানিয়েছেন, শিবগঞ্জে দিন দিন বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে অনুযায়ী শিবগঞ্জেই প্রতিদিন বিদ্যুতের প্রয়োজন ৫০ মেগাওয়াট। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে চাহিদার অর্ধেক।
এ ব্যাপারে পল্লীবিদ্যুতের সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শিবগঞ্জ উপজেলায় কোন লোডসেডিং নেই। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ৩৩ হাজার ভোল্টের চারটি সাবস্টেশনের মাধ্যমে পল্লীবিদ্যুৎ ও পিডিবি একই সংগে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়ায় মাঝে মাঝে কিছুটা সমস্য হয়। তবে, তিনি মন্তব্য করেন, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার হওয়ায় মাঝে মাঝে লাইন বন্ধ রাখতে হয়।
শিবগঞ্জ পিডিবি অফিসও দাবি করেন, তাদেরও কোন লোডসেডিং নেই। তবে, একই স্থান থেকে পল্লীবিদ্যুৎ ও পিডিবি বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়ায় প্রতিটি ফিল্ডারে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ সফিকুল ইসলাম সফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক, শিবগঞ্জ/ ৩০-০৪-১৫