চারদিন পর লতিফা ও আঁখি ফিরল, তবে লাশ হয়ে
ফুলের মতই পবিত্র ৯ বছরের শিশু কন্যা লতিফা খাতুন ও আঁখি খাতুন গেল শনিবার অন্যান্য দিনের মত বইখাতা নিয়ে স্কুলের উদ্দ্যেশে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। বাগান, আবাদী ক্ষেত আর মেঠো পথ ধরে স্কুলে গিয়ে আবার স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল। চারদিন পর তারা ফিরল, তবে লাশ হয়ে। তাও আবার ক্ষতবিক্ষত গলিত লাশ হয়ে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নের চর বাবুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ও সীমান্তগ্রাম চর কানছিড়ার ডাক্তারপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফ ও আশরাফুল আলমের মেয়ে যথাক্রমে লতিফা ও আঁখি শনিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। স্কুল ছুটির পরও তারা বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন উৎকন্ঠা নিয়ে ছুটে যায় স্কুলে। সেখানে গিয়ে স্কুল শিক্ষকদের কাছে জানতে পারেন যে তারা দু’জন স্কুলেই আসেনি। শুরু হয় খোঁজাখুজি। এ গ্রাম থেকে ও গ্রাম। প্রতিবেশি থেকে আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি। কোথাও খোঁজ না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। তবুও খোঁজ না পেয়ে রোববার রাতে আব্দুল লতিফ ও আশরাফুল শিবগঞ্জ থানায় পৃথক পৃথক সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নম্বর ১১৪০ এবং ১১৪১।
স্থানীয়রা জানায়, দু’দিন ওই শিশু দু’টির খোঁজ না পেয়ে এলাকাবাসীর ধারণা হয়েছিল হয়তো পাচারকারীদের খপ্পড়ে পড়েছে লফিতা ও আঁখি। তাদের পরিবার স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পকেও অবহিত করেছিল শিশু নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি। নিখোঁজের চারদিন পর সেই লতিফা ও আঁখির লাশ মিললো ভুট্ট্রা ক্ষেতের ভেতর।
স্থানীয়রা জানায়, দুর্লভপুর ইউনিয়নের দ্বোভাগি গ্রামের মাথায় ঝালপাড়া মাঠে দুপুরের দিকে কৃষকরা জমিতে কাজ করার সময় দুগন্ধ অনুভব করে। এই দুর্গন্ধের অনুসন্ধান করতে গিয়ে ভুট্টা ক্ষেতের ভেতর দু’টি শিশুর লাশ দেখতে পায়। কৃষকরা আত্মংকিত হয়ে এলাকাবাসীকে জানায়। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে পুলিশকে খবর দেয়।
শিবগঞ্জ থানার এসআই নুর আলম জানান, স্থানীয়দের খবরের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেলে ভুট্টা ক্ষেতের ভেতর থেকে ওই শিশু দু’টির লাশ উদ্ধার করে। দু’টি প্যাকেটের মধ্যে ছিল ক্ষত বিক্ষত লাশ দু’টি।
হত্যাকান্ডের কারণ সর্ম্পকে তিনি কিছ জানাতে পারেন নি।
এদিকে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, শিশু দু’টি লাশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে নিখোঁজের দিনই কিংবা পরের দিন তাদের হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বুধাবার রাতে লতিফা ও আাঁখির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রত্যান্ত এলাকায় ওই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের অভিভাবকদের মাঝে চরম আত্মংক বিরাজ করছে। আমাদের শিবগঞ্জ প্রতিবেদক জানিয়েছে, শিবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার অভিভাবকদের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষার্থীরাও আত্মংকিত হয়ে পড়েছে এই ঘটনায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০১-০৪-১৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নের চর বাবুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ও সীমান্তগ্রাম চর কানছিড়ার ডাক্তারপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফ ও আশরাফুল আলমের মেয়ে যথাক্রমে লতিফা ও আঁখি শনিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। স্কুল ছুটির পরও তারা বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন উৎকন্ঠা নিয়ে ছুটে যায় স্কুলে। সেখানে গিয়ে স্কুল শিক্ষকদের কাছে জানতে পারেন যে তারা দু’জন স্কুলেই আসেনি। শুরু হয় খোঁজাখুজি। এ গ্রাম থেকে ও গ্রাম। প্রতিবেশি থেকে আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি। কোথাও খোঁজ না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। তবুও খোঁজ না পেয়ে রোববার রাতে আব্দুল লতিফ ও আশরাফুল শিবগঞ্জ থানায় পৃথক পৃথক সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নম্বর ১১৪০ এবং ১১৪১।
স্থানীয়রা জানায়, দু’দিন ওই শিশু দু’টির খোঁজ না পেয়ে এলাকাবাসীর ধারণা হয়েছিল হয়তো পাচারকারীদের খপ্পড়ে পড়েছে লফিতা ও আঁখি। তাদের পরিবার স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পকেও অবহিত করেছিল শিশু নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি। নিখোঁজের চারদিন পর সেই লতিফা ও আঁখির লাশ মিললো ভুট্ট্রা ক্ষেতের ভেতর।
স্থানীয়রা জানায়, দুর্লভপুর ইউনিয়নের দ্বোভাগি গ্রামের মাথায় ঝালপাড়া মাঠে দুপুরের দিকে কৃষকরা জমিতে কাজ করার সময় দুগন্ধ অনুভব করে। এই দুর্গন্ধের অনুসন্ধান করতে গিয়ে ভুট্টা ক্ষেতের ভেতর দু’টি শিশুর লাশ দেখতে পায়। কৃষকরা আত্মংকিত হয়ে এলাকাবাসীকে জানায়। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে পুলিশকে খবর দেয়।
শিবগঞ্জ থানার এসআই নুর আলম জানান, স্থানীয়দের খবরের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেলে ভুট্টা ক্ষেতের ভেতর থেকে ওই শিশু দু’টির লাশ উদ্ধার করে। দু’টি প্যাকেটের মধ্যে ছিল ক্ষত বিক্ষত লাশ দু’টি।
হত্যাকান্ডের কারণ সর্ম্পকে তিনি কিছ জানাতে পারেন নি।
এদিকে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, শিশু দু’টি লাশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে নিখোঁজের দিনই কিংবা পরের দিন তাদের হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বুধাবার রাতে লতিফা ও আাঁখির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রত্যান্ত এলাকায় ওই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের অভিভাবকদের মাঝে চরম আত্মংক বিরাজ করছে। আমাদের শিবগঞ্জ প্রতিবেদক জানিয়েছে, শিবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার অভিভাবকদের পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষার্থীরাও আত্মংকিত হয়ে পড়েছে এই ঘটনায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০১-০৪-১৫