ভোলাহাটে রাতের অন্ধকারে হামলা > তিন এসআইসহ ৭ পুলিশ আহত
ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক খান জানান, তিলকী গ্রামের একটি ‘ইসলামী জালসা’য় ‘উত্তেজক’ ও ‘আপত্তিকর’ কথা বলা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ১টার দিকে পুলিশের একটি দল জালসাস্থলে যায়। পুলিশের ওই টহলদল ঘটনাস্থলে পৌছা মাত্রই তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে আহত এসআই আব্দুল মজিদ, এসআই শিশির কুমার চক্রবর্তী, এসআই শুকুর আহম্মেদ, কন্সটেবল সফিকুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, আবুল কালাম, আব্দুল আজিজ।
ওসি জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে রাতেই ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভোলাহাট থানায় প্রায় ২ শ জনকে আসামী করে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছে।
এদিকে ভোলাহাট থেকে আমাদের প্রতিবেদক তাজামুল হক আরাফাত জানান, প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে কোন পোষ্টার কিংবা অন্যান্য প্রচারণা ছাড়াই তিলকী গ্রামে ওই জালসার আয়োজন করেছিল এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানায়, জালসা শেষে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে জনতা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এসময় পুলিশ মাইক হাতে নিয়ে জনতাকে শান্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ করে। এক সময় কিছু উৎশৃংখল লোকজন হামলা চালায় পুলিশের উপর। পরে পুলিশ বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে নিরহ ৯ জন মানুষকে গ্রেফতার করে বলে জানায় তারা। আয়োজিত জালসার সভাপতি মাও: আব্দুল মালেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কারী আলাউদ্দিন বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি খাবারের জন্য বাড়ী যাওয়ায় মঞ্চে ছিলেন না। সে সময় সরকার বিরোধী বক্তব্য হয়েছে কিনা তা তার জানা নাই।
এদিকে হামলার সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ফাঁকা চার রাউন্ড শটগান ও এক রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি ছুড়ে।
অন্যদিকে ঘটনার সাথে জড়িত দাবী করে পুলিশ সুরানপুর গ্রামের ৯জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রাফতারকৃতরা হলো সুরানপুর গ্রামের সহিমুদ্দিনের ছেলে শহীদুল (১৯), ইব্রাহীম মিস্ত্রীর ছেলে আব্দুল ওয়াদুদ (২০), আইয়ুব আলীর ছেলেহেলার উদ্দিন ( ২০), মুন্তাজ আলীর ছেলে মহসিন আলী (২৩), খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুল কাদের (৪৫), সাদিকুল ইসলাম (২৪), ইব্রাহীম মিস্ত্রীর ছেলে সাখাওয়াত (২২), এনামুলের ছেলে বিশু আলী (৩০) ও সেনাউল (২৪)।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা ও পুলিশের গ্রেফতার অভিযানের ফলে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে আত্মংক ছড়িয়ে পড়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ০৭-০৪-১৫