অনৈতিক কান্ডের অভিযোগে ফেসে গেলেন সিরাজ পন্ডিত স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকা
অভিযোগে জানাগেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে স্কুল চলাকালীন সময়ে শংকরবাটী ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আখের আলী ও সহকারী শিক্ষিকা রুমেনা খাতুন অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। এসময় অপর এক শিক্ষিকা হটাৎকরে অফিস কক্ষে ঢুকে পড়েন। এসময় তিনি তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। ওই সময়েই ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী স্কুল ঘেরাও করে প্রধান শিক্ষক আখের আলীকে অবরুদ্ধ করে রাখে। একপর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে প্রধান শিক্ষক কৌশলে পালিয়ে যায়। তখন থেকে তিনি স্কুলে অনুপস্থিত।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে প্রধান শিক্ষক আখের আলীর এধরণের অনৈতিক কার্যকলাপ বিদ্যালয়টির সুনামকে হুমকীর মুখে ফেলেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আখের আলী বলেছেন, ‘ঘটনাটি মিথ্যা, এ ধরণের ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই’।
অভিযুক্ত রুমেনা বেগম মোবাইলফোনে জানান, প্রধান শিক্ষক আখের আলী আমার চাচার মতো, আমাদের বাবা-মেয়ের মতো সম্পর্ক। এধরণের কোন ঘটনা আমার জানা নেই।
এদিকে, ঘটনার পর এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি গত ১১ অক্টোবর অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থ গ্রহণের সুপারিশ করলেও সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামিম আহমেদ খান তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশে শুধু মাত্র বদলির সুপারিশ করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসের সুপারিশে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী জেলা শিক্ষা অফিসারের স্মরণাপন্ন হন। এতেই ফেসে যান ওই দু’ শিক্ষক। সাময়িক বরখাস্তের শিকার হতে হয় তাদের।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সাত্তার বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্সকাতর এবং ন্যাক্কারজনক। মানুষ গড়ার যারা কারাগরি যারা তাদের এধরণের অনৈতিক কার্যকলাপ কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এধরণের অনৈতিক কার্যকলাপের তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
এদিকে, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে উপেক্ষার করা অভিযোগও উঠেছে। দুই বছর আগে নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠন করলেও পূর্ববর্তী সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের স্বাক্ষরিত চেক’র মাধ্যমে তিনি চালিয়ে এসেছেন আর্থিক লেনদেন।