জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের সরকারি কলেজ মোড়ে গত মঙ্গলবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ শিকদারের হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে এক দল দুর্বৃত্ত। কলেজ মাঠ থেকে মেসের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথেই ওৎ পেতে থাকা দূর্বৃত্তদের হামলায় এখন ঢাকায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে মেধাবী ছাত্র নাহিদ। এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগ শিবিরকে দায়ি করলেও শিবির তাদের সংশিস্নষ্টতা অস্বীকার করেছেছে।
স'ানীয় সূত্র ও প্রত্যড়্গদর্শীরা জানায়, আগে থেকেই সরকারি কলেজ মাঠে ক’জন বন্ধু নিয়ে বসে গল্প করছিল নাহিদ সিকদার। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেসে ফেরার জন্য কলেজ মাঠ থেকে বের হয়ে গেটের কাছে আসলেই কয়েকজন মুখোশধারী সন্ত্রাসী প্রথমে একটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায়। ককটেল চার্জের পরপরই সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে নাহিদকে কোপানো শুরম্ন করে। নাহিদের পিঠে ও পায়ের গোড়ালীতে এলোপাতাড়ী কোপানোর পর সন্ত্রাসীরা তার দু’ হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। এরপর তারা অস্ত্র উচিয়ে পালিয়ে যায়। কলেজ হোস্টেল ও আশেপাশে থেকে স'ানীয়রা দ্রম্নত ঘটনাস'লে ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাতেই আশংকাজনক অবস'ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ নাহিদের উপর হামলাকে পরিকল্পিত উলেস্নখ করে এরজন্য শিবিরকে দায়ি করেছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফাইজার রহমান কনক ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান আরমান বলেন, ‘ পরিকল্পিতভাবে পুর্ব প্রস'তি নিয়ে থাকার শিবিরের সন্ত্রাসীরা মেধাবী ছাত্র নাহিদ সিকদারকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা করেছে এবং তার হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে’। জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ সিকদারের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগ প্রতিবাদ সভা করে শহরে বিড়্গোভ মিছিল ও শহীদ সাটু হল মোড়ে সমাবেশ করেছে। সেখানেও তারা হামলার ঘটনার জন্য শিবিরকে দায়ি করেছে। তবে, শিবির এ ঘটনায় তাদের সংশিস্নষ্টতা অস্বীকার করেছে। জেলা ছাত্র শিবিরের প্রচার সম্পাদক হাদিদুল ইসলাম হাদি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ এ ঘটনার সঙ্গে শিবিরের কোনই সংশিস্নষ্টতা নেই। কোন চক্র আমাদের আজকের (বুধবারের) হরতালকে পুজি করে হরতালের আগের রাতে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। যাতে দায় জামায়াত-শিবিরের ঘাড়ে বর্তায়’।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশ সুপার বশির আহম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ ঘটনার পরপরই আমরা তদনত্ম শুরম্ন করি। তদনেত্ম বেশ অগ্রগতি এসেছে এবং মোটামুটি নির্ধারিত হয়ে গেছে এর সঙ্গে কারা জড়িত। তাদের বিরম্নদ্ধে কঠোর ব্যবস'া নেয়া হবে’। কোন রাজনৈতিক দল এর সঙ্গে জড়িত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ জড়িত যাদের নাম পাওয়া গেছে তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ও ড়্গতিয়ে দেখা হচ্ছে’।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দীন জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।